Joy Bhaiya Youtube Channel

Fake WhatsApp Account Create Site list

 Quackr

https://quackr.io


AnonymSMS

https://anonymsms.com


ReceiveSMS

https://www.receivesms.co


Temporary phone number for verification code

https://temporary-phone-number.com


SMS24.me

https://sms24.me


ONLINE-SMS.ORG

https://online-sms.org


receive-sms.cc

https://receive-sms.cc


Receive SMS Online

https://receive-smss.com


MyTempSMS.com

https://mytempsms.com


Temp Number

https://temp-number.com


SMS-Man

https://sms-man.com


receivesms.org

https://www.receivesms.org


SMSOnline

https://www.smsonline.cloud


Receive SMS Online | Temporary and Disposable Phone Numbers

https://smsreceivefree.com


MobileSMS.io

https://mobilesms.io

Share:

Froggies Token will be listed on LBank


 🎉 New #listing


🌟 $FRGST (Froggies Token) will be listed on LBank!@joininjective


Froggies Token is a deflationary meme token that focuses primarily on providing its investors and community with use-case, utility and fun. 


❤️ Details:https://support.lbank.site/hc/en-gb/articles/18935180385817

Share:

New listing $DONS

 

Spot New listing

#Bitget will list $DONS @TheDonsCoin on May 26th in Meme Zone with 25,000,000 DONS to be won!

✅ Deposit now!

🎁 A total $100 #giveaway for 10 members! RT + TAG 3 friends.

Listing Info: bitget.com/en/support/art…

Campaign Info: bitget.com/en/support/art…

Share:

বিয়ে ছাড়া বউ

 বিয়ে ছাড়া বউ

# _পর্ব ..6



.

আপনারা যা ভাবছেন তার কিছুই হয়নি।

দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বিরক্ত নিয়ে

চোখ

খুললাম। ইরা হাসছে। কুনই দিয়ে গুতো

মেরে দরজা খুলতে চলে গেলো। দরজা খুলল।

বাড়িওয়ালী পেত্নি এসেছেন।

ইরাঃ - আরে আন্টি। এতো সকালে কোনো

সমস্যা?

আন্টিঃ - আরে ইরা মা সমস্যা কেনো হবে?

তোদের জন্য সকালের নাস্তা নিয়ে এলাম।

ইরাঃ - না, আন্টি আমরা খেয়ে নিয়েছি।

আন্টিঃ - এমা,কখন?

ইরাঃ - এইতো একটু আগে।

আন্টিঃ -তোমরা খাবার কোথায় পেলে?

বাইরে থেকে আনিয়েছো তাই না। আমরা

থাকতে বাইরে থেকে এনে খেতে হবে

কেনো?

ইরাঃ - আরে না আন্টি। আমি আর জয় দুজন

মিলে নাস্তা তৈরি করে খেয়ে নিয়েছি।

আন্টিঃ - কি ভালো একটা ছেলে তোমাকে

ও কাজে সাহায্য করে। আর আমার স্বামি

টাকলু আমার কাজে সাহায্য করাতো দূরের

কথা ও তো আমি কাজ করে ক্লান্ত হয়েছি

কিনা সেটাও জিজ্ঞেস করে না। সাথে

সাথেই আংকেলের আগমন।

আংকেলঃ - কি আমি টাকলু তোমার কাজে

সাহায্য করি না।

আন্টিঃ - না করো নাতো।

আংকেলঃ - করি না। করবোও না। আমি যে

বাজার করে আনি তুমি কি আমাকে বাজার

করতে সাহায্য করো।

আন্টিঃ - আমি কেনো তোমার বাজার

করায় সাহায্য করবো।

আংকেলঃ - তাহলে আমিও করবো না।

আন্টি - আংকেল

ঝগড়া করতে করতে চলে গেলেন। ইরা আন্টি

আংকেলের ঝগড়া দেখে হাসতে হাসতে

শেষ। আমিও

হাসছি।

আমিঃ - দেখলে আন্টি আমার কেমন

প্রশংসা করলেন।

ইরাঃ - এহ!! ওটাতো তোমাকে পাম

দিয়েছেন।

আমিঃ - আমি টায়ার নাকি যে, আমাকে

পাম দিতে হবে।

ইরাঃ - তাইতো মনে হয়।

আমিঃ - তোমাকে আমি!!!

ইরাঃ,-কি করবে কিছুই করতে পারবে না।

আমিঃ - পারবো না তাই না। বলে ইরার

দিকে এগিয়ে যেতেই। ইরা তার ব্যাগ

থেকে একটা পিন বের করে বলল,

ইরাঃ - কাছে আসার চেষ্টা করবে না। পিন

দিয়ে ফুটো করে ফেলবো বললাম।আমি আর

ইরার দিকে পা বাড়ালাম না।

ইরাঃ - চলো এখন।

আমিঃ - হুম চলো। তবে তুমি কিন্তু কথা

দিয়ে কথা রাখনি।

ইরাঃ - আচ্ছা,তাহলে এদিকে আসো। ইরা

পিন ব্যাগে ডুকিয়ে দিয়েছে। তাই খুব খুশি

হয়ে সামনে যেতেই।

ইরাঃ - এখন চোখ বন্ধ করো। আমি চোখ বন্ধ

করলাম। সাথে সাথে আমি............

আয়ায়ায়াহ

ও মাগো এটা মাইয়া নাকি ডাকাত। না না

তুক্কু ডাকাতনি।

ইরাঃ - কি বাবু কেমন লেগেছে?

আমিঃ - কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম আবার।

এমন ডাকাত তুক্কু ডাকাতনি মেয়ে আমি

জীবনেই দেখিনি।

ইরাঃ - উহু, খুব ব্যাথা পেয়েছো। সরি

আসলে বুঝতে পারি নি। কাদে না সোনা

আমার।

আমিঃ -সরো বলে ধাক্কা দিলাম।

ইরাঃ - প্লিজ রাগ করো না। আসলে বিয়ের

আগে ওসব করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।

আমিঃ - তার মানে আমরা বিয়ের পর ওসব

করবো।

ইরাঃ - এহ!! আমরা মানে।তোমাকে কে

বিয়ে করছে?

আমিঃ - কেনো এইতো বললে।

ইরাঃ - আরে গাধারাম ওটাতো উদাহরণ

দিলাম।

আমিঃ - ওও,

ইরাঃ - হুম, এখনতো চলো।

আমিঃ - হিম, চলো। আমি আর ইরা রাস্তায়

বের হলাম।

আমিঃ - রিক্সা ডাকি।ইরা চোখ বড়ো

বড়ো করে বলল,

ইরাঃ - রিক্সা মানে। রিক্সায় যাবো

কেনো?

আমিঃ - তাহলে কি দিয়ে যাবো?

ইরাঃ - কেনো অটোতে?

আমিঃ - মন খারাপ করে বললাম, ওও

অটোতে যাবে।

ইরাঃ - হুম, কোনো সমস্যা?

আমিঃ - নাহ। দাঁড়িয়ে আছি অটো ডাকতে

গেলাম।

ইরাঃ - এই শুনো। আমি পিছনে তাকিয়ে

বললাম,

আমিঃ - কি?

ইরাঃ - রিক্সাই ডাকো। আমি খুশি হয়ে

বললাম,

আমিঃ - আচ্ছা।

ইরাঃ - এতো খুশি হওয়ার প্রয়োজন নেই।

রিক্সায় গেলে গায়ে বাতাস লাগিয়ে

যেতে পারবো।

আমিঃ - ওওও। রিক্সা ডেকে আনলাম। খুব

খুশি হলাম ইরার পাশে বসে রিক্সায় চড়বো

কিন্তু সেটা আর বেশিক্ষণ সইলো না।

আমাদের

মাঝে ইরার ব্যাগ দিয়ে বর্ডার

দেয়া। আমার নিমিষেই মন খারাপ হয়ে

গেলো।

দূর

ব্যাগটা সরিয়ে দিলেই কি? আমিঃ - ইরা!!

ইরা আমার দিকে এক চোখে তাকিয়ে,

ইরাঃ - কি?

আমিঃ - ব্যাগটা সরিয়ে দিই।

ইরা চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,

ইরাঃ - কেনো?

আমিঃ - না মানে। কেমন যেনো পর পর

লাগে। আমাদের স্বামি স্ত্রী লাগেনা।

ইরাঃ - আমরাতো স্বামী স্ত্রী না।

আমিঃ - কে বলল?

ইরাঃ - কে বলবে আবার? এটা তো তোমার

আমার জানা ই যে আমরা স্বামী - স্ত্রী

না।

আমিঃ - তবুও। সরিয়ে দিলেই বা কি।

ইরাঃ - থাকলেই বা কি? আমি আর কিছুই

বললাম না। কিছুক্ষণ পর,

ইরাঃ - এই যে রিক্সা থামান।

আমিঃ - কেনো? কেনো?

ইরাঃ - কেনো আবার আমার অফিসে চলে

এসেছি।

আমিঃ - ওও। আচ্ছা, টাটা।

ইরাঃ - হাত নাড়িয়ে বলল,টাটা। আমি মন

খারাপ করে রিক্সাওয়ালা মামাকে

বললাম,

আমিঃ - মামা, চলুন। রিক্সা ওয়ালা মামা

চলতে শুরু করলেন। ইরা অফিসে ডুকলো। ওর

বান্ধবি ইপ্সিতা।

ইপ্সিতাঃ - কিরে ছেলেটা কেরে? তকে বউ

বলল। ইরা চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,

ইরাঃ - না,না। বউ বলবে কেনো?তুই ভুল

শুনেছিস।

ইপ্সিতাঃ - ভুল শুনেছি মানে। আর যাই

হোক ছেলেটা আমার সেই লেগেছে।

আমাকে কি প্রেম করিয়ে দিবি। ইরা

আবার চোখ বড়ো বড়ো করে থাকালো।

ইপ্সিতাঃ - আরে বাবা, এভাবে

থাকাচ্ছিস কেনো?

ইরাঃ - তুই কি এখানে অফিসে এসেছিস

নাকি প্রেম করতে।

ইপ্সিতাঃ - আরে তুই এতো রেগে যাচ্ছিস

কেনো?

ইরাঃ - রাগবো কেনো? তকে কোলে তুলে

নাচবো। ইপ্সিতা আর কোনো কথা

বাড়ালো না।

রিক্সাওয়ালা মামা আমাকে নিয়ে

অফিসে চলে এলেন। আমি নেমে অফিসে

গেলাম। অফিসের কাজে মন বসাতে পারছি

না। আমি ইরাকে এক রাতের মধ্যেই

ভালোবেসে ফেলেছি। মেয়েটা কি সুন্দর।

মায়াবী। ইশ!! ওও সত্যিই যদি আমার বউ

হতো। কলিগের ডাকে ধ্যান ভাঙলো,

রহমানঃ - কি ব্যাপার জয় সাহেব? কার

কথা ভাবছে। আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে

বললাম,

আমিঃ - কার কথা মানে?

রহমানঃ - তাহলে মিঠ মিঠ করে

হাসছিলেন যে।।

আমিঃ - না না, কই।

রহমানঃ - সব বুঝি জয় সাহেব। আমি কিছুই

বললাম না। দুপুরে ইরার সাথে কথা বললাম।

লাঞ্চ করেছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম।

অফিস শেষে বিকেলে রিক্সা নিয়ে ইরার

অফিসের সামনে এসে দেখলাম ইরা

দাঁড়িয়ে আছে।

আমিঃ - কি ব্যাপার তুমি এখনো এখানে

দাঁড়িয়ে? অফিস ছুটি হয়েছে কটায়।

ইরাঃ - তোমাকে সব কিছুর কৈয়ফত দিতে

হবে নাকি? দেখি সরে বসো। বসে ধুম করে

রিক্সায় উঠলো। কি ব্যাপার ইরা রেগে

আছে মনে হয়। এবারও ইরা ব্যাগটা দিয়ে

বর্ডার করে দিলো। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,

আমিঃ - ইরা ব্যাগটা।ইরা আমার দিকে

চোখ লাল করে থাকিয়ে বলল,

ইরাঃ - কি?

আমিঃ - সরানো যায়না।

ইরাঃ -চুপ!! ব্যাগে হাত দিবে না। আমি

ধমক খেয়ে আর কিছু বললাম না।

রিক্সাওয়ালা মামা হাসছেন। 

আমিঃ - কি হলো মামা হাসছেন কেনো?

রিক্সাওয়ালাঃ - তোমরা দুজন স্বামী-

স্ত্রী তাই না। আমি আর ইরা একসাথে বলে

উঠলাম,

আমিঃ - হ্যা। আর

ইরাঃ - না। রিক্সাওয়ালা মামা হা হা

করে হেসে উঠলেন।

ইরাঃ - ঐ আমি তোমার কোন জন্মের বউ

হ্যা। বল ( চিৎকার

দিয়ে উঠলো)

আমিঃ - আরে চিৎকার করছো কেনো?

ইরাঃ - চিৎকার করবো নাতো কি করবো।

হ্যা।আমি ইরাকে আরোও রাগিয়ে তোলার

জন্য বললাম,

আমিঃ - হ্যা, মামা আমরা স্বামী- স্ত্রী।

ইরাঃ - না, আঙ্কেল আমরা স্বামী স্ত্রী

না।

আমিঃ - হ্যা মামা আমি ওর স্বামী।

ইরাঃ - না আঙ্কেল।

রিক্সাওয়ালা মামাঃ - বুঝেছি তোমরা

বাড়িতে ঝগড়া করেছো তাই না।

আমিঃ - এইতো এটাই। সকালে ঝগড়া

করেছি বলে আমার বউটা এখনো রেগে

আছে।

ইরাঃ - কক্ষনো না।

রিক্সাওয়ালা মামাঃ - বুঝেছি বুঝেছি

মা। আসলে তোমরাতো এখনো ছোট নতুন

বিবাহিতা এগুলো মাঝে মাঝে হবেই। আর

আমিইতো আমার বউয়ের সাথে ঝগড়া করি।

তবে সেটা আনন্দ ঝগড়া। বউকে রাগীয়ে

মজা পাওয়া যায়। তবে এসব ছোট ছোট

ঝগড়া নিয়ে তোমরা খুব বেশী অভিমান

আবার যেনোকরে না

না ফেলো সেদিকে খেয়াল রেখো। ইরা

অন্যদিকে মুখ করে আছে। আমি মুখ চেপে

ধরেছি হাসি আঠকাতে পারছি না।

আমিঃ - হ্যা, মামা আমার বউটা বড্ড

অভিমানী। সাথে সাথে ইরা অগ্নিমুখ

দর্শন করলাম। আমি ভয় পেয়ে গেলাম।

ইরার মুখ লাল হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর মনে

হয় সবুজ হয়ে যাবে। এখন আর বেশী রাগানো

যাবে না। না হয় মুখটা ফেটে যাবে।

আমিঃ - আরে এমন ভাবে থাকিয়ে আছো

কেনো? আমি আবার কি করলাম। ইরা কিছু

না বলে ফুসছে। এটাতো সাপের মতো ফনা

তুলছেরে বাবা। কেউ আমাকে বাচান। এই

মাইয়াকে আর রাগানো যাবে না। না হয়

কোন সময় ছোবল মারবে কে জানে?

আমিঃ - ইরা জানু, বাবু, সোনা। ইরা আমার

দিকে থাকাতেই ভয়ে বললাম,

আমিঃ - আরে বলতে তো দিবে নাকি।

পুরোটা বলে ফেলি তারপর থাকাবে।

বুঝলে। না হয়তো ভয়ে বলতে পারবো না।

আমি আবার বলা শুরু করলাম,

আমিঃ - ইরা বাবু, সোনা,লক্ষি বউ আমার

রাগ করে না প্লিজ।

পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই দিবো অপেক্ষা

করুন।

(চলবে.............)

Share:

How to extract facebook group id from any posts by JERA

 Group ID Extractor V3 help you get list of group ids  where people shared post to.

this method  it's most less effort  way to find group for marketing purpose 

if you doing adsbreak  or fb watch  you can earn alot of money by sharing your post in to a groups

Download Link: https://mega.nz/file/dYUDzYLC#oKGb78iRfgAfpNhK3eLtJmXt_-eLvGphnbCi2hfNZE8

Share:

Facebook Auto Approval Group List || দেখে নিন ফেসবুক অটো এ্যাপ্রুভাল গ্রুপ লিষ্ট

Facebook Auto Approval Group List || দেখে নিন ফেসবুক অটো এ্যাপ্রুভাল গ্রুপ লিষ্ট




auto approve post facebook group list

Facebook Auto Approval Group Link


how to Find Facebook Auto Approval Group list


Tag 

auto approval groups

facebook groups

auto approval facebook group list

facebook free group list

facebook premium group list

paid group on facebook

how to find auto approve facebook group

facebook group

facebook group me member kaise badhaye

auto approve group members facebook

facebook auto approval groups

how to find premium facebook group

facebook group rent

facebook active groups

Share:

Ex গার্লফ্রেন্ড পর্বঃ১

            Ex গার্লফ্রেন্ড



এক্স গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১

আবির হাসান নিলয়

“নিলয়ের বাচ্চা কুত্তা,তুই আমাকে সত্যি

করে বল।তুই আমাকে ভালোবাসিস কিনা?

যদি ভালো না বাসিস আজকেই তোর নামে

থানায় মামলা করবো।শুয়োর কয়টার সাথে

তোর ইটিশপিটিশ চলে?”


কলেজের মাঠে বসে ফোন চালাচ্ছিলাম

তখনি জান্নাত এসে উপরের কথাগুলো

বললো।আজ আবার কোন সালা ওর

মাথায় এই ভুত চাপাইছে কে জানে। ব্যাগ

থেকে ইয়ারফোন বের করে কানে নিলাম।

আমি খুব ভালো করেই জানি,জান্নাতের

প্যাঁচাল এতো সহজে শেষ হবে না।কথাগুলো

জেনো শুনতে না পায় তার জন্য একটা

গান দিয়ে শুনতে লাগলাম।কিন্তু সেই সুখ

আর বেশিক্ষণ রইলো না।আমি কিছু বুঝে

উঠার আগেই জান্নাত ইয়ারফোন নিয়ে 

দাত দিয়ে একদম ছিরে ফেললো।😰

জান্নাতঃআমার কথা কানে যায় না?

আমিঃহো যায়,আর যায় বলেই তো গান

শুনছিলাম।আমার ২৫০টাকার ইয়ারফোন

নষ্ট করে দিলি।

জান্নাতঃতোর ইয়ারফোনের গুষ্টিরমাথা সালা,

তুই এখন সোজাভাবে বল,তুই কয়টার সাথে

প্রেম করিস?

আমিঃআমাকে তোর প্লেবয় মনে হয়?

জান্নাতঃতার থেকেও বেশি,আর এতো কথা

বাদ দিয়ে তুই বলবি,তুই কয়টার সাথে খেলছিস?

আমিঃহোপ,এখনো কোনো মেয়েকে ছুঁয়েও

দেখিনি।আর তুই এসব ছিঃ ছিঃ।

জান্নাতঃওহ তাই বুঝি?

আমিঃহ্যা

জান্নাতঃওয়েট

আমিঃকেনো?


আমাকে কোনো উত্তর না দিয়ে জান্নাতের

ফোন থেকে কিছু পিক দেখালো।

জান্নাতঃতাহলে এগুলো কি?

আমিঃমারিয়ার বার্থডে ছিলো,তাই এমন

করে কিছু.....

জান্নাতঃহ্যা বল,জড়াই ধরে পিক তুলছিস

আমিঃহুম☺

জান্নাতঃকুত্তা😤


বাপের জন্মে যেসব গালি শুনি নাই সেসব

বলে গালিগালাজ করতে লাগলো।একটা

প্রশ্ন আপনাদের কাছেও রইলো।আপনাদের

মধ্যে কারো গার্লফ্রেন্ড কি আপনাদের 

“পচা বেগুনের পোকা” নিয়ে গালি দিয়েছে?

সেসব বাদ দেয়,গল্পে ফিরি।

জান্নাতের গালিগালাজ দাঁড়িয়ে শুনছিলাম।

ওরে কিছু বললেও উল্টো বেশি কথা বলবে।

তাই চুপ করে থাকাই সব থেকে ভালো।

জান্নাতঃতোর সাথে ব্রেকআপ

আমিঃএ্যাঁ,সোজা ব্রেকআপ💔

জান্নাতঃহো ব্রেকআপ

আমিঃকয়দিনের জন্য?

জান্নাতঃকয়দিনের জন্য মানে?ঠাসস,কি

মনে হয় আমাকে তোর?আমি ছ্যাঁচড়া?

আমিঃবাল কথা বলবি বল,হুদাই গায়ে

হাত তোলার কি আছে?

জান্নাতঃতোর সাথে ব্রেকআপ,আর কখনো

আমার সামনে আসবি না।

আমিঃআচ্ছা

জান্নাতঃআচ্ছা মানে,তুই আমার প্যান্ট দে।

আমিঃহোয়াট দ্যা প্যান্ট দেয়া,সবার সামনে

তোরে প্যান্ট দিয়ে দিলে আমি কি পরবো?

জান্নাতঃসেটা তোর ব্যাপার,আমার টাকাই

প্যান্ট কিনছিস।তাই তুই আমার প্যান্ট দিবি।

আমিঃকাল দিয়ে দেবো

জান্নাতঃমাথায় হাত রেখে বল

আমিঃদিয়ে দেবো তোর দিব্যি।

জান্নাতঃআর কখনো আমার চোখের সামনে

আসবি না।সালা লুচুর বাচ্চা।


চলে যাওয়ার সময় পেটে ডিসুম দিয়ে চলে

গেলো।সালার এই মেয়েকে আল্লাহ কি

দিয়ে বানাইছে কে জানে।ওর বাবা মা এই

পাগলকে কিভাবে বাসায় রাখে সেটাই তো

আমার মাথায় ঢুকে না।পেটে হাত দিয়ে

কিছু সময় বসে রইলাম।Opps আপনাদের

তো পরিচয় দেয়া হলো না.।আমি

আবির হাসান নিলয়,অনার্স থার্ড ইয়ারে

পড়াশোনা করছি।আর যে কুত্তীটা আমার

ইয়ারফোন ছিরে চলে গেলো সে হলো

অধরা জান্নাত।জান্নাতের ব্যাপারে বলতে

ও আমার গার্লফ্রেন্ড সরি গার্লফ্রেন্ড না,

এক্স গার্লফ্রেন্ড।আপনাদের সামনেই কিভাবে

ব্রেকআপ করলো দেখতেই পারলেন।সে

যায় হোক,ওর ব্যাপারে আরো কিছু বলে

রাখি।তাহলে আমার এবং আপনাদের পক্ষে

ভালো হবে।বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।

ভাই আছে তবে সে ক্লাস ৬এ পড়াশোনা 

করে।আর জান্নাত আমার থেকে এক ব্যাচ

জুনিয়র। তবে সিনিয়রদের কিভাবে সম্মান

করতে হয় বাবা মা একদমই সেটা শেখায়নি।

কুত্তীটার জন্য এখনো আমার পেট ব্যথা 

করছে।আপনাদের পরিচয় দেয়ার সময়

বন্ধুরা আসলো।

রাহুলঃকিরে হালা,এমনে বইসা কেন?

জয়ঃভাই আর যাই বলিস,কিন্তু প্রেগন্যান্ট

এর কথা বলিস না।

আমিঃ😨

রাফিঃকিতা হয়ছে?

আমিঃমোর ইয়ারফোন শেষ 

রাহুলঃইঁদুরে কাটছে নাকি?

আমিঃহো,মানুষ ইঁদুর।

রাফিঃভাবি করছে😂

আমিঃতোর ভাবির গুষ্টি সালা,ওর সাথে

ব্রেকআপ।পাগল একটা,আর কিছুদিন ওর

সাথে থাকলে পাক্কা আমিও পাগল হয়ে

যেতাম।ভাগ্যিস ব্রেকআপ হয়েছে।

রাহুলঃসিরিয়াস ভাবে বলছে নাকি?

আমিঃজানিনা,তবে আমি সিরিয়াস।

জয়ঃকেনো?

আমিঃএকটা গেলে আরেকটা পাবো,তবে

দৈনিক মাইর খেতে চায় না।জুইকে কাল

প্রপোজ করবো।মানলে মানবে,না মানলেও

ওকে মানাবো।তবুও এই পাগলা কুত্তীর

সাথে রিলেশনে যাবো না।

রাহুলঃদেখ কালকেই আবার ঠিক হয়ে যাবে।

হুদাই আমাগো সামনে ভাব লইয়া কোনো

লাভ নাই তোর।আর তুই যেমন ছ্যাঁচড়া, যদি

জান্নাত কালকেই কোনো একটা জিনিসের

প্রতি লোভ দেখায় তুই সেটা নিয়ে আবার

ওর আচল ধরে থাকবি।

আমিঃসালা সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা

বানাই দিলি😕

জয়ঃইজ্জত কি ভাই?

আমিঃআই কিছু কইতাম না।


কিছু সময় বসে থাকার পর সবাই মিলে

ক্লাসে গেলাম।ক্লাসে কিছুক্ষণ বসে থাকার

পর লক্ষ্য করলাম সাদিয়া আসলো।সাদিয়া

ক্লাসের ফাস্ট গার্ল,সেই সাথে অনেক বেশি

মিশুক একটা মেয়ে।ক্লাসের সবাইকে তুই

করে বললেও কেনো জানিনা আমাকে তুমি

করে বলে।এই মেয়ে আমার মধ্যে কি পেয়েছে

সে নিজেই ভালো জানে।

সাদিয়াঃহাই

আমিঃহাই,আজ আমার সামনে যে?

সাদিয়াঃএমনি,কেমন আছো?

আমিঃভালো,তোর কি অবস্থা?

সাদিয়াঃহুম ভালো।পরশু আমার বার্থডে,

যদি ফ্রি থাকো তাহলে তুমি ওদের(বন্ধু)

নিয়ে আমার বার্থডেতে আসলে হ্যাপী হবো।

আমিঃকোথায় করবে?

সাদিয়াঃআমার বাসায়

আমিঃজুই যাবে?

সাদিয়াঃক্লাসের সবাইকে বলছি,এখন কি

করবে আই ডোন্ট নো।

আমিঃঠিক আছে।আর হ্যা,তোর কাজিন

পাগলিকে আসতে বারণ করিস।

সাদিয়াঃজান্নাতকে?

আমিঃহ্যা

সাদিয়াঃকেনো?

আমিঃওর মাথায় সমস্যা আছে,কখন কি

করে পার্টি নষ্ট করে দিবে কে জানে।

সাদিয়াঃসেসব নিয়ে তুমি ভেবো না।


সাদিয়ার সাথে কথা বলার মাঝে ক্লাসে স্যার

আসলো।তাই আর কোনোপ্রকার কথা 

বললাম না।আর হ্যা,ভাবছেন জান্নাত আর

সাদিয়ার মধ্যে কিসের সম্পর্ক..? আসলে

ওরা চাচাতো বোন।জান্নাত আমাদের সম্পর্ক

কাউকে জানাতে চায় না বলেই সবার কাছে

গোপন রেখেছিলাম।আমার আর জান্নাতের

কিছু ফ্রেন্ড ছাড়া তেমন কেউ জানে না এই

রিলেশনের ব্যাপারে।সবাই ভাবতো আমরা

প্রতিবেশী তাই কথাবার্তা বলতাম।কিন্তু সত্যি

কি সেটা তো আপনারা ভালো করেই জানেন।


ক্লাস শেষ করে বাইরে আসার পর মারিয়া

আসলো।

আমিঃকিরে ছকিনা তুই এখানে?

মারিয়াঃকাল সবাই গিফট দিছে,শুধু তুই 

দিস নাই।তাই আজ গিফট দে।

আমিঃকাল দেখলিই তো কিভাবে চলে 

আসতে হয়েছিলো।

মারিয়াঃহ্যা,কি হয়ছিলো?

আমিঃও কিছু না।আর এটা তোর গিফট।

(ব্যাগ থেকে চকলেট বক্স বের করে দিলাম)

মারিয়াঃওয়াও,থ্যাংক ইউ হাবু😘

আমিঃসালা সেই ক্লাস থ্রি থেকে এই হাবু

হাবু করছিস।এখন অন্তত অন্য একটা নাম

দে,যেটা ডাকলে আমি খুশি হবো।

মারিয়াঃএটাই পারফেক্ট নাম ডার্লিং।

সাদিয়াঃমারিয়া চল

সাদিয়াঃহ্যা চল


দুজন চলে যাওয়ার পর বন্ধুরা আসলো।

আমিঃআজ কি করছিলি?

রাফিঃযা করি সেটাই।

আমিঃযদি প্রিন্সিপাল স্যার এসব জানে

তোদের একদম মেরে ফেলবে।

জয়ঃসেটা তোর ভাবা লাগবে না।

রাহুলঃএখন চল

—হ্যা চল

আমাদের বাসা খুব একটা দূরত্বে না।সবার

বাসা পাশাপাশি হওয়াই সবাই একসাথে

কলেজে যাওয়া আসা করি।


সবাই মিলে বাসার দিকে রওনা দিলাম।বাসা

থেকে কলেজের দূরত্ব বেশি না।প্রায় মিনিট

১০ লাগে।তাই আমরা নিয়মিত হেটেই

চলাফেরা করি।কিছুক্ষণ হাটার পর পেছন

থেকে শুনতে পেলাম....

জান্নাতঃএই ছ্যাঁচড়া, শোন

আমিঃআবার কি?

জান্নাতঃতোকে সাদিয়া কিছু বলছে?

আমিঃহ্যা

জান্নাতঃযাইস না ওখানে।

আমিঃকেনো যাবো না?

জান্নাতঃতোর প্রতি ওর নজর ঠিক না।

আমিঃআমি তো ছ্যাঁচড়া।

জান্নাতঃতবুও যাবি না।

আমিঃআপনি কে আপু?

জান্নাতঃআপু মানে?কোন জন্মের ভাই তুই?

আমিঃএই জন্মেরই

জান্নাতঃমেজাজ খারাপ করবি না।

আমিঃদেখ জান্নাত,আমাদের ব্রেকআপ

হয়েছে।তাই হুদাই এসব প্যাঁচাল পেরে কোনো

লাভ আছে?

জান্নাতঃব্রেকআপ সিরিয়াসলি বলছি নাকি?

আমিঃহ্যা সিরিয়াস

জান্নাতঃযা কুত্তা তোর সাথে ব্রেকআপ,আর

কখনো আমার পিছে আসবি না।

আমিঃতুইও কখনো আমার সামনে আসবি না

জান্নাতঃশুয়োর, কুত্তা,বানর.... 


এসব বকা আপনাদের শুনতে হবে না।এসব

শুনলে ইজ্জতের ফালুদা বেজে যাবে।যদিও

ইজ্জতের আছেই বা কি।😑

সে যাই হোক,বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম

নিলাম।বিকেলবেলা বন্ধুরা কল দিয়ে মাঠে

যেতে বলল।আর হ্যা,মাঠটা কিন্তু জান্নাতের

বাসার সামনেই।মাঠে আসতেই দেখলাম

জান্নাতের ছোট ভাই ক্রিকেট খেলছে।ওসব

না দেখে বন্ধুদের কাছে গেলাম।

আমিঃকিরে হঠাৎ মাঠে

জয়ঃসাদিয়ার বার্থডেতে প্ল্যান কি?

আমিঃতোর ইনভাইট করছে?

রাফিঃসালা তোর আগে আমাদের বলছে

আমিঃওহহ

রাহুলঃএকটা ঘড়ি নিয়ে যায়,১৫০টাকার😁

রাফিঃসালা এক ঘড়ি নিয়ে ৪জন যাবো?

আমিঃতোর কে কি নিবি সেটা ঠিক কর।

আমারটা আম্মুর থেকে শুনে নেবো।

জয়ঃআন্টিও যাবে?

আমিঃনা,তবে সাদিয়ার সাথে আম্মুর সেই

সম্পর্ক। তাই বলতে পাড়বে বার্থডেতে কি

দিলে হ্যাপী হবে।

রাফিঃওহ

—ভাইয়া বলটা দাও


খেয়াল করে দেখলাম জান্নাতের ছোট ভাই।

সালা দুলাভাইয়ের থেকে বল চাইছে।তবে

দুলাভাই হিসাবে সালাকে হেল্প করতেই পারি।

আমিঃবল মেরে তোর বাসায় দেবো বাজি

লাগাবি আমার সাথে?

রিহানঃলাগবে না,এমনিতেই আপু সেদিন

আমাকে বকা দিয়েছে।

আমিঃকেনো?

রিহানঃআমার ব্যাট তোমাকে দিয়েছি বলে।

আমিঃওটা কিছুই না,তুই খেলবি কিনা বল

রিহানঃনা

আমিঃআমিও বল দেবো না।

রিহানঃআব্বুকে ডেকে আনবো কিন্তু

আমিঃতোর আপুকেও নিয়ে আসিস

রিহানঃপালাবে না


এটুকু বলেই দৌড়ে চলে গেলো।ওর এমন

কাজকাম দেখে সবাই হাসাহাসি করে উঠে

ওদের ব্যাট বল দিয়ে আমরা খেলতে শুরু

করলাম।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম জান্নাত আসছে

আমিও তো এটাই চেয়েছিলাম জান্টুস।😇

জান্নাতঃতোরা ওর বল নিছিস কেন?

আমিঃআমি নেয়নি,বল রাফির কাছে।

রিহানঃনা আপু,বল নিলয়ই নিছিলো।

আমিঃসালা আমি তোর আপুর চাইতেও বড়,

আর তুই আমার নাম ধরে বলছিস😲

জান্নাতঃতোরা ওদের ব্যাট বল দে।

আমিঃদিতে পাড়ি তবে একটা কন্ডিশন

জান্নাতঃকি?

আমিঃআমাকে ৬টা বল করতে হবে।

রিহানঃঠিক আছে,তবে জোরে মারলে

খবর আছে।

আমিঃতোকেই ক্যাচ দিচ্ছি দেখ।


এবার রাফির থেকে বল দিয়ে বল করতে 

গেলো।ইচ্ছা আমার বল মেরে ওদের বাসায়

দেবো।জেনো ওর বাসার কেউ এটা দেখলে

খেলতে না দেয়।

জান্নাতঃআমি গেলাম।

রিহানঃঠিক আছে আপু।

জান্নাত চলে যেতে লাগলো।প্রথম দুটো বল

আস্তে করে মারলেও তিন নাম্বার বলটা

বাসার উদ্দেশ্য মারতেই পুরা থ হয়ে গেলাম।

বল গেলো তো গেলো সোজা জান্নাতের

পিঠে গিয়ে লাগলো।জান্নাতের গায়ে বল

লাগতেই সাপের মতো বেকে উঠলো।পেছন

ফিরে কিছু বলার আগেই আমি ব্যাট রেখে

দৌড়। এই মুহূর্ত যদি আমি ওখানে থাকি

তাহলে আমি শিওর আমার উপর দিয়ে সিডর

চালাবে।


রাত্রিবেলা.......

সবাই বসে আছি তখন নিলু রুম থেকে এসে

সবাইকে বলল...

নিলুঃআব্বু আজ ভাইয়া কি করছে জানো?

আব্বুঃকি?

নিলুঃজান্নাত আপুকে বল মেরে লাগিয়েছে।

আব্বুঃকিছু বললো না তোকে?

আমিঃহাতের কাছে পেলে সিডর চালাতো।

নিলুঃভয় পেয়ে পালিয়ে আসছে।

আমিঃতোকে কে বলল?

নিলুঃআপু নিজেই বলছে।

আমিঃকখন?

নিলুঃসাদিয়া আপু আজ যেতে বলছিলো।

ওখানে যাওয়ার পর জান্নাত আপু বলল।

আম্মুঃকাল দেখা হলে সরি বলবি।

আব্বুঃকাল তোর খালার বাসায় যাবি।

আমিঃএকা?

আব্বুঃহুম

আমিঃকেনো?

আব্বুঃকিছু কাগজ নিয়ে।তোর খালুকে দিয়ে

আমাকে কল দিবি।তারপর আমি সব বলবো

আমিঃঠিক আছে।

সবাই টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি রাতের

খাবার খেয়ে নিলাম।


পরেরদিন......

ঘুম থেকে নাস্তা করে আব্বুর থেকে সেসব

কাগজ নিয়েই রওনা দিলাম।যেতে অনেক

সময় লাগবে।ওখানে পৌঁছাতে প্রায় বিকেল

হয়ে যাবে।বাসে উঠে একটা সিটে বসে গান

শুনতে লাগলাম।


চলবে.......


Share:

প্রেমের কবিতা

বাংলা কবিতা, প্রেমের কবিতা, দেশের কবিতা, বাংলা গল্প । Bd Golpo


প্রেমের কবিতা নংঃ ১

কবিতার নামঃ আজকাল আমি কিছুই বলি না!

আমি আজকাল কেবল কিছুই বলি না,

কিন্তু আমি শুনি—

দু’কান পেতে হাহাকার শুনি,

অভিযোগ শুনি, অনুনয় শুনি,

ফুটপাথে ভাসা কান্না শুনি,

মশারি জয় করা মশার গানও শুনি;

কেবল— মুখে বলি না কিছুই।

আমি আজকাল কেবল কিছুই বলি না,

কিন্তু আমি দেখি—

সড়কে লাল-খয়েরি খুন দেখি,

নেতা দেখি, সহমত ভাই দেখি,

পথগোলাপের হাতে থালা দেখি,

নেটফ্লিক্সে হরর-থ্রিলার জনরাও দেখি;

কেবল— মুখে বলি না কিছুই।


আমার ওষ্ঠ-অধর রাত-দুপুরে প্রেমিকার উষ্ণতা নেয়,

আমার কণ্ঠতন্ত্রী ভিখারির সাথে সারমেয়-কর্কশ বাজে,

আমার উদ্ধত গলা এলান করে প্রেমসর্বস্ব সুখের ইশতেহার,

আমার জিহ্বা তিনবেলা লেহন করে হাজারে হরেক হারাম!


কেবল আমি আজকাল মুখে বলি না কিছুই;

আমি সুনাগরিক সংবিধানপ্রেমী,

ধারা ঊনচল্লিশ উপধারা এক মানি,

বিবেক ধরি, চিন্তা করি শর্তহীন;

তবে—

কেবল এবং কেবলমাত্র—

আজকাল আমি কিছুই বলি না!


প্রেমের কবিতা নাম্বার ২

প্রেমিকা ও নেইলকাটার

মৌমিতা তাসরিন প্রত্যয়

গেলবার আমার মৃত্যুর ক'দিন আগে সুকণ্যা ফোন করে বলল,

ওর একটা নেইলকাটার চাই।

নিউ মার্কেটের সবচেয়ে ভালো দোকান থেকে একটা নেইলকাটার কিনে ওকে দিতেই

রিটার্ন গিফট হিসেবে আমার হাতে একটা ইরেজার ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল,

এবারে যাই; এজন্মের প্রেম মুছে দিও- পরের জন্মে তোমার প্রেমিকা নয় বৌ হবো।


আমি বুঝে গিয়েছিলাম, ওর নখের ডগায় 

যতটা প্রেম জমিয়েছি ততটা প্রেমের ভার বইতে ওর কষ্ট হচ্ছে।


এরপর তিন তিনটে শুক্রবার কেটে গেছে।

ল্যাবরেটরিতে সায়ানাইড এর সংকট ছিল।

উপায়ন্তর না পেয়ে চলে গেলাম শান্তিপুর স্টেশনে।

ট্রেনটা আমার বুকের ওপর দিয়ে যাওয়ার আগে আবছা আলোয় দেখেছিলাম,

ভিআইপি কামরায় স্বামীর বুকে মাথা রেখে ও হানিমুনে যাচ্ছে।


পুরুষের কবিতা ৩

পুরুষ মানুষ

-রুমিজ উদ্দীন খাঁন

নারী জন্মালে রহমত আসে

বরকত হয় পরিবারের ।

অনেক প্রার্থনার জন্ম হয় পুরুষের 

দায়িত্ব থাকে সংসারের।


ছোট থেকেই বোঝানো হয়

দায়িত্ব কর্তব্য পালনে।

অর্ধেক বয়স কেটেই যাই

দায়িত্ব গুলো নেভাতে।


মা বলে ডাকার সাথেই

চাপলো পিঠে বইয়ের বোঝা?

লেখা পড়া শেষ হতে না হতে

চাকরি পিছনে ছোটা!


এসবের মধ্যে একটা দুটো

প্রেমের গল্প আঁকি!

গাড়ি বাড়ি টাকার লোভে

তারাও দেয় ফাঁকি।


তবুও আমারা পুরুষ মানুষ

বলে কষ্ট নাকি পায় না?

মা বাদে সকলই হাসে

কেউই বুঝতে চায় না!


বয়স বাড়ার সাথে সাথে

দায়িত্ব চাপে বুকে!

বৃদ্ধ বয়সেও ছুটি পায় না

কেউ থাকে না সাথে।


ছেলে হয়েও নেভাতে হয়

বাবার দায়িত্ব কখনো?

নিজের স্বপ্ন কেউ শোনে না

হাত রাখে মাথায় কখনো।


বাবার দোষ নেই এখানে

সেও একজন পুরুষ।

সমাজের বুকে লড়তে না পারলে

তুমি একটা কাপুরুষ।


না খাবার বায়না করতাম

ছোটবেলায় মায়ের কাছে!

খেতে চাইলে এখন খেতে পাই না

মা যে নেই আর কাছে।


মায়ের কোলে ঘুমের অভ্যাস

বড়ো আদরের যে ছিলাম!

দায়িত্বর বিছানায় ঘুম আসে না

নিজের কাছেই  নিলাম।


এতো কষ্ট হবার পরে

শুনতে হয় নানান কথা?

কেউ আপন হবে না কখনো

বুঝবে নাকি ব্যথা?


কবিতা ৪

"মধুমেহ..."

✍🏻 শুভজিৎ (ছদ্মবেশী)

সেদিন আমাদের যখন বাড়ি ফেরার পালা, আমি তোমার গলা জড়িয়ে বলেছিলাম, 

"আবার কবে আসবে আমার কাছে?"

তুমি বলেছিলে "আসবো ঠিক, একদিন হঠাৎ করেই!"

আমি বলেছিলাম "যদি কখনো আমায় একটিবার দেখার জন্য মন কেঁদে ওঠে, যদি ইচ্ছে হয় আমার সাথে বিরহ সুরে ভাসতে, চলে এসো সেদিনই!"

তুমি মুচকি হেসে বলেছিলে "কথা দিলাম।"


আজ বিকালে হঠাৎ দরজায় টোকা দেওয়ার শব্দে তোমায় দেখতে পেলাম।

জানতে চাইলাম, দীর্ঘ পাঁচটা বছরে যখন মনে পড়েনি, আজ কেনো হঠাৎ মনে পড়লো!

তুমি সেই একই হাসি হেসে বললে, "তোমায় দেখার জন্য মন কেঁদে উঠেছিলো আজ হঠাতই!"

তুমি যে বড্ড দেরি করে ফেলেছো, আর যে হাতে সময় নেই, অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো আমার বিয়ে ঠিক হওয়া দিয়ে। 

কাল যে আমার বাড়ি সেজে উঠবে সানাইয়ের সুরে, আলোর বাহারে।

ফিরে যাও তুমি, আর এসো না ফিরে,

আমার যে আর সহ্য হবে না তোমার এই চাহনি, তোমার কণ্ঠস্বর!

চলে গেলে তুমি, আমি আজ তাকিয়ে দেখলাম শেষটা।


আজ বিয়ে আমার, বর সেজে যেইনা বেরোতে যাবো, তুমি এলে আবার।

হাতে দুটি গোলাপের মালা।

আমার গলার রজনীগন্ধার মালা খুলে নিজের হাতে গোলাপের মালা পড়িয়ে দিয়ে বললে "গোলাপ পছন্দ না বুঝি তোমার!"

উত্তর দিই নি, বুঝেছিলাম আমার বিদায় প্রহরে শেষ ছোঁয়া টুকু দিতে এসেছিলে তুমি।

কিন্তু থেমে গেলে, ছুঁলে না, বুঝলাম, আজ ছুঁতে চেয়েও ছোঁয়া বারণ। 

অবশেষে খানিক দুর থেকে চোখাচুখি হলো, ঈশারায় বললে, "ভালো থেকো!"

আমিও সম্মতিতে বলেছিলাম তুমিও ভালো থেকো।

আর কিছু বলনি তুমি, শুধু সেই পুরোনো হাসি ছিল তোমার মুখে।

বুঝেছিলাম, এই শহরে চলার পথে হয়তো আর কখনো দেখা হবে না, তবু তুমি আর তোমার মুখের শেষ দেখা হাসিটা থেকে যাবে আমার মনে।


ভালোবাসার কবিতা ৫

একলা পাগল মন

বর্ণালী চক্রবর্তী

আমার একলা পাগল মন 

আমার একান্ত আপন,

    আমায় ছুটিয়ে বেড়ায় বুঝি।

আমার হারিয়ে যাওয়া প্রাণ 

যেন শব্দহীন এক গান,

 আমি হারিয়ে ফেলে তাকেই আবার খুঁজি।


গভীর শাল পিয়ালের বন 

নিবিড় পাতার আলাপন

        আমায় ডাক দিয়ে যায় ফিরে।

আমি নিশ্চুপে যাই মিশে 

আমার ভাবনা হারায় দিশে

ফিসফিসিয়ে বলি আমার বন্ধু হবি কিরে?


ওরে পাহাড়ি এক নদী 

আমায় ভাসিয়ে নিলি যদি

                 তবে বৃথাই বৈঠা বাওয়া।

ঝিরঝির ঝির ঝর্ণা তালে 

জল থৈথৈ মাদল ব'লে

মিঠে হাওয়ার একতারাতে ভাটিয়ালি গাওয়া।


আমার 'তুই' পাগলা মন 

আমার একার আপনজন,

         কেন নীল নীলিমায় ভাসিস!

আমি তোকেই পেতে চাই

 তাই পথেই ছুটে  যাই

অনেক ভালোবাসবো যদি একটু কাছে আসিস।


আমায় কাঁদাস নারে আর

আমি প্রেমের ছন্দ কবিতার

       বাউল মন বাঁধবে নারে ঘর।

আমায় কেন রাখিস দূরে

আমি যে উদাস ভবঘুরে,

তোর জোছনার আদর মেখে হব নদীর চর।


সেই চরে তুই বাঁধবি বাসা

 আমার প্রাণে গোপন আশা,

         অপেক্ষাতে আকাশ তলে বসি।

তুই আয়না অসীম নীল

জানি তোর হৃদয় পদ্ম বিল।

পদ্মপাতার শিশির হয়ে বলবো ভালোবাসি।


কবিতা ৬

সায়মা টুনি 

অধিকার নেই কী আমার

নতুন করে বাঁচবার,

স্বপ্ন দেখবার অধিকার,

কী নেই আমার!


রঙ তুলি দিয়ে 

জীবনকে রঙিন 

করে তোলার সেই

সুযোগ কী নেই আমার!


সুরের মাধুর্য নিয়ে,

গুণ গুণ করবার মতন।

কলতান শোনার সেই,

অধিকার কী নেই আমার!


ভোরের শুভ্র বেলী ফুলের

মালা গাঁথার সেই লগ্ন কী!

হবে না ভাগ্যে দেখবার।

অধিকার কী নেই আমার!


মিষ্টি পরশে হাত দুটো 

ধরে কাছে আসবার ...

মানুষটির মুখে প্রিয়তমা 

ডাকটি শোনবার সেই 

অধিকার কী নেই আমার!


সংসার নামের সেই ঘরটি,

যেন ছিল পুতুল খেলার মতন।

সব কিছু বুঝে ওঠার আগেই ... 

ভেঁঙে গেছে অভিনব কায়দায়।


দোষ কী হবে আমার,

যদি নতুন করে বাঁচার

স্বপ্ন দেখি, নতুন করে 

বাঁচবার আশা বুনি!


এবার না হয় একটুখানি 

নিজের জন্য ভাবি, নিজেকে 

নিয়েই ভাবি। তবে, দোষ কী 

হবে বেশী! অধিকার নেই কী আমারও ...

Share:

২০২২ সালের সেরা গল্প বাসর রাত

 

২০২২ সালের সেরা গল্প বাসর রাত

২০২২ সালের সেরা গল্প বাসর রাত

লেখক : #পিচ্চি_রাাকিব

🙂🙂বন্ধুদের খোচা খেতে খেতে বাসর ঘরে বীর পুরুষের মতো প্রবেশ করেই ফেললাম । প্রবেশ করার পূর্বে হার্টবিট কিছুটা কম থাকলেও প্রবেশ করার পর এটা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে লাগলো😶😶 । 

লাজুক ছেলেটি একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে থাকবে ,, মেয়েটা তাকে পছন্দ করবে কি না ?? মেয়েটি তাকে স্বাভাবিক ভাবে নিবে কি না ?? এগুলো ভাবতে ভাবতে কপাল ঘামতে শুরু করে দিলো । এতো ভয় পাওয়ার কি আছে , তার সাথেই তো সারাজীবন থাকতে হবে ,, ভয় পাওয়ার কিছু নেই রাকিব, এভাবে নিজেই নিজেকে সাহস দিতে লাগলাম । এরকম পরিস্থিতিতে এই অসহায় ছেলেটিকে কেউ সাহায্য করার ও নেই । তার পর নিজেকে শক্ত করলাম । একটু একটু করে তার দিকে এগিয়ে গেলাম । সে চুপটি করে বসে আছে । আমি তার ঘোমটা খুলে মুখ দেখার জন্য নিজেকে শক্তভাবে প্রস্তুত করলাম । 

কিন্তু বেচারা হাত কিছুতেই তার ঘোমটা খোলার সাহস পাচ্ছিলো না । মেয়েটি বুঝতে পারলো আমি ভীষন ভাবে লজ্জিত তাই ও নিজেই নিজের ঘোমটা তুললো । তার চন্দ্রমুখ টা দেখে আমি হতভাগ হয়ে চেয়ে থাকলাম আর অবাক হলাম । তার হরিণী চোখ আর ঘন মেঘ বর্ণ চুল আমাকে ভাষাহীন করেছে ।


মিষ্টি :--   এই যে মিস্টার,, এতো করে কি দেখছেন   হুম!


আমি :--   ইয়ে মানে , না কিছু না । দুরে গিয়ে টেবিলে  

               রাখা পানি পান করলাম । বুঝতে পারলাম 

               মেয়েটি মুচকি মুচকি হাসছে । এবার একটু 

               সাহস পেলাম । মেয়েটির নিশ্চয় আমাকে 

               একটু পছন্দ করেছে । আবার তার কাছে

               গেলাম । 


আমি :--   আচ্ছা তোমার নাম তো মিষ্টি তাই না ??;


মিষ্টি :--    মানে কি ! বিয়ে করেছেন অথচ নাম জানেন না

                ?? 


আমি :--   ইয়ে না মানে!!


মিষ্টি :--     এতো মানে মানে করবেন না তো ।

   

বুঝতে পারলাম মেয়েটার আমার থেকে সাহস বেশি । 


আমি :--    আচ্ছা একটা কথা বলবো ??


মিষ্টি :--      হুম 


আমি :--    আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি । আমার

                প্রস্তাব শুনে সে মুচকি হাসতে লাগল । নব বধূ 

                না হলে মনে হয় অট্টহাসিই দিতো । বাসর

                ঘরে বউকে বন্ধুর প্রস্তাব দিতেই হয়তো এতো 

                হাসি । সে মাথা নেড়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,


মিষ্টি :--     হুম হতে পারি 


একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে মনে বাধা দিলো । তাই বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলাম । একে অপরকে ভালো করে বুঝা ,, ভালো ভাবে জানা উচিত । একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা যা আমার প্রতিদিনরই স্বপ্ন ছিলো । স্বামী স্ত্রী সবচেয়ে বন্ধুর সম্পর্ক ভালো হয় । যখন দুজনে দুজনার মনের কাছাকাছি এসে থাকতে পারবো  তখন শরীর এমনিতেই কাছে আসবে ।


আমি :--   ছাদে যাবেন এখন ?? খুব সুন্দর পূর্ণিমা! 


মিষ্টি :--     হুম 


আমি :--    আজকে সারা রাত গল্প করে কাটাই চলেন ! 


আমার এমন আবদার শুনে খুব খুশি হলো সে । দুজনে ছাদে গেলাম । চাদের আলোয় মিষ্টিকে যেন জান্নাতের হুর মনে হচ্ছে ।


আমি :--   আচ্ছা মিষ্টি পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক 

               কোনগুলো ??  আর ভালোবাসা কোনগুলো?? 

               মিষ্টি চাদের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো ,,


মিষ্টি :--   প্রথম যখন আমি আপনাদের বাসায় পা দিলাম

              তখন আপনার মা আমাকে শক্ত করে বুকে 

              ধরেছিলেন । আমার মনে হয়েছিল আমি

              আমার মাকে পেয়ে গেছি এটা হচ্ছে সুন্দর

              সম্পর্ক । আমাকে আপনার মায়ের নিজের

              মেয়ে মনে করা আর আমি আপনার মাকে 

              নিজের শ্বাশুড়ি নয়,, নিজের মা মনে করা । 

              আপনার বাবা যখন বলেছিলেন আমার 

              কোনো মেয়ে নেই । এখন আমি একটা লক্ষী 

              মেয়ে পেয়ে গেছি ,, সেটা হচ্ছে ভালোবাসা । 

              আমি তো হতভাগ হয়ে তার দিকে চেয়ে আছি।

              নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান ছেলে মনে হচ্ছে ।

              যে আমার কথা না বলে , আমার পরিবারের 

              কথা আর আমার মা বাবার কথা আখে ভাবে ।

              সেই মেয়ের মতো কেউ ভালোবাসতে পারবে না 

               । আমি একটু অভিমানের নাটক করে বললাম

              ,,


আমি :--       আমি বুঝি কিছুই না ??  হুম  !!


মিষ্টি :--       এই যে আপনি এই রাতে একটা মেয়েকে

                  পেয়েও তার শরীর কে kkkk ভালো না বেসে তার 

                  কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ,,,,,

                  একটা সুন্দর রাত উপহার দিচ্ছেন , আমার

                 জীবনের শ্রেষ্ঠ রাত উপহার দিচ্ছেন । এটা 

                 হচ্ছে একটা মেয়ের প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা

                 বোধ । যা প্রত্যেকটি মেয়ে তার স্বামীর কাছে 

                 থেকে আশা করে ।


মিষ্টির মুখে স্বামী ডাকটা শুনে আমি লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম । মিষ্টি আমার হাত ধরে ফেললো আর বলল ,,


মিষ্টি :--       এই যে লাজুক ছেলে ,, এতো ভয় পাচ্ছেন

                  কেন ?? আমি একটা জিনিস চাই,, কি দিতে

                  পারবেন তো ?? 


আমি :--       হুম পারবো ।


মিষ্টি :--      আমাকে একটা রাজকন্যা গিফট করতে হবে 

                 । সেদিন আমি লজ্জাকন্ঠে বলেছিলাম,,


শুধু ভালোবাসতে হবে,, পৃথিবীর সব সুখ এনে দিবো তোমায় । 

  

        (( 😍😍প্রতিটি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এরকম সুমধুর হোক😍😍 ))


😥😥তখনই খারাপ লাগে যখন এতো দূর এসে লাইক কমেন্টস না করে চলে যায়😥😥

Plx Comment korben 

Share:

ভালবাসার গল্প রোমান্টিক হবু বউ পর্বঃ 2

 

ভালবাসার গল্প রোমান্টিক হবু বউ   পর্বঃ 2

ভালবাসার গল্প রোমান্টিক হবু বউ 

পর্বঃ 2

লেখকঃbmpavel


এরপর নাস্তা করে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। আজকে আর কলেজে যাবো না,তাই বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম। বারোটা সময় বাসায়

চলে আসলাম। এই দুইঘন্টায় নিধী আপু কমপক্ষে 

বিশ বার কল দিছে।  আমি বাসায় গিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।  রুমে এসে নরমাল ড্রেস পরে নিলাম। এরপর তোয়ালে হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।  


ওয়াশরুমে দরজা দাক্কা দিতেই দেখি, নিধী আপু ভিতরে। আর নিধী আপুর শরীলে  একটা সুতো পর্যন্ত নেই। নিধী আপু আমাকে দেখে কোনো রিয়েকশন ই করলো না। আমিই বের হয়ে গেলাম। 

ওয়াশরুম থেকে বাহির হয়ে খাটে বসে পরলাম।  আমার বোকের দুকদুকানি উঠা নামা করছে। আমি বসেই রইলাম, কিছুক্ষন পরে নিধী আপু ওয়াশরুম থেকে ডাকছে৷  


আমিঃ কি হয়েছে?

নিধীঃ দেখ খাটের উপরে আমার তোয়ালে আর কাপর নিয়ে আয় ত৷ 

আমিঃ তুমি এসে নিয়ে যাও। 

নিধীঃ এ অবস্থায় বাহিরে যাবো কি করে? 

আমিঃ ওয়াশরুমে গেলে যে দরজা লক করতে হয় তোমার জানা ছিলো না?  

নিধীঃ খেয়াল ছিলো না,  প্রবলেম কি তুই ই ত দেখছিস অন্য কেউ না। একদিন না একদিন ত দেখবিই। 

আমিঃ তোমার লজ্জা করে না? 

নিধীঃ তর কাছে আবার কিসের লজ্জা? 

এতো কথা বাদ দিয়ে তোয়ালে নিয়ে আয়৷ 

আমিঃ আম্মুকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। 


এই বলে আমি নিচে চলে আসলাম৷ নিচে এসে আম্মুকে বলে আমার রুমে পাঠিয়ে দিলাম। 

আমি নিধী আপুর রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম। 

কিছুক্ষন পড়ে আপু রুমে আসলো, এসে আমাকে দেখে মুচকি একটা হাসি দিলো। এরপর আয়নার সামনে চলে গেলো৷ আমি আপুর দিকে তাকিয়ে আছি,  বেজা চুলে আপুকে পরির মতো লাগতেছ।। 

আমি আপুর দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছি, আর ভাবতেছি ভবিষ্যতে ত আপু আমার বউ হবেই, এতো সুন্দরি একটা বউ উফ ভাবতেই ভাল্লাগে।। 


এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে আপু আমার সামনে এসে দাড়িয়েছে খেয়াল ই করেনি।   আপু বলল কি দেখিস এমন করে?  তোমাকে আজ যেনো আমার চোখ দুটো তোমার দিক থেকে ফিরছেই না।।  এটা বলাতেই আপুর গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।  মুখ ফসকে কি বলে ফললাম এখন ত আমার ও লজ্জা করছে। 


আমি উঠে চলে যেতে লাগলাম আপু দাক্কা দিয়ে আমাকে বিছানায় ফেলে দিলো।।  এরপর নিধী আপু এসে আমার উপরে শুয়ে পড়লো। 


নিধীঃ তুই এতো কিউট কেন,  তকে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে কষ্ট হয় কেন?। 

আমিঃ কি করছো কি? 

নিধীঃ চুপ একদম চুপ। 


এই বলে আপু আমাকে কপালে চুমু দিলো ।  আর আমার বোকে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো ।  আজ আর আপুকে আটকালাম না, ।  

আমিঃ আপু আমার কেমন জানি লাগছে?

নিধীঃ কেমন? 

আমিঃ হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে।  আচ্ছা তুমি আমাকে স্পর্শ করলে আমার এমন লাগে কেন? 

নিধীঃ এটাই ত ভালোবাসা,, তুই গাদা তাই বুঝিস না। 

আমিঃ এখন ছারো, 

নিধীঃ না 

আমিঃ ওই ছারো আম্মু এসে পরবে, । 

নিধীঃ আগে একটা কিস কর। 

আমিঃ পারবো না।। 

নিধীঃ আমিও ছারব না। 

আমিঃ ওকে কপালে করব একটা। 

নিধীঃ না ঠোঁটে 

আমিঃ পারব না,, এর আগেও তুমি জোর করে আমার লিপি অনেকবার কামর দিছো।  

নিধীঃ কি করব বল, তর লিপ টা যে আমার আইসক্রিমের মতো লাগে। 

নিধীঃ তাই বলে কামর দিবে? 

নিধীঃ যা ইচ্ছা করব তর কি তর সব কিছুতেই আমার হক আছে।  


এই বলে আপু আমার ঠোঁটে ছোট করে একটা চুমু খেলো।  আপুর ঠোঁট দুটো গোলাপি একদম গোলাপের পাপরির মতো৷।  আর লিপের নিচে কালো রংয়ের একটা তিল আছে এতে আপুর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে দিছে।  


আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না। 

আপুক নিচে ফেলে দিয়ে আমি উপরে উঠে পড়লাম। আমার ঠোঁট আপুর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,  আপু চোখ বন্ধ করে ফেলল আমি চার ঠোঁট এক করে দিলাম ।  এমন করে অনেকক্ষন থাকার পরে আমি আপুর ঠোঁট দুটি মুক্ত করে দিলাম। আপু এসে আমার বোকে শুয়ে পড়লো।


আমিঃ আপু তুমি যা চাচ্ছো এটা কি আদো সম্ভব। 

নিধীঃ সম্ভব না কেন?

আমিঃ সমাজ কি এটা মেনে নিবে। 

নিধীঃ সমাজের কথায় আমার কিছু যায় আসে না। 

আমরা সুখি হলেই চলবে।

আমিঃ এখন যায় আমি সন্ধার সময় আবার রিয়া আপুর বার্ডে পার্টি। 

নিধীঃ ওকে যা।।।। 


রিয়া হলো নিধী আপুর ফ্রেন্ড। আমি রুমে এসে আগে জয় কে কল দিলাম।  


জয়ঃ হ্য বল 

আমিঃ রিয়া আপুর বার্ডে পার্টিতে যাবি?

জয়ঃ হুম যেতে ত হবেই। 

আমিঃ রানা যাবে?

জয়ঃ হ্য যাবে। 

আমিঃ ওকে তাহলে আমি আপুকে ড্রপ করে দিয়ে এসে পরে তদের আনতে যাবো। 

জয়ঃ ওকে। 


এরপর আমি রুমে চলে আসলাম,। রুমে এসে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম।  শাওয়ার নিয়ে বাহির হয়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে পরলাম।  বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার খাটের এক পাসে একটা কালো পান্জাবী রাখা।  বুঝলাম নিধী আপু রেখে গেছে, 

সাথে একটা চিরকুট তাতে লেখা কালো পান্জাবী টা পরে রুমে আসবি আমার।   


আমি ফ্রেশ হয়ে কালো পান্জাবী পরে আপুর রুমে চলে গেলাম। আপু আয়নার সামনে বসে চোখে কাজল লাগাচ্ছে,  নিধী আপু ও ব্লাক কালারের শাড়ি পড়েছে।  আমি গিয়ে খাটে বসে পরলাম।। 

একটু পরে নিধী আপু আমার সামনে এসে দাড়ালো আর বলল দেখত আামকে কেমন লাগছে?  


আমি আপুর দিকে তাকালাম,  আপু কে দেখে একটা গান মনে পড়ে গেলো,  আমি গেন হারাব মরেই যাবো বাঁচাতে পারবে না কেউ। 


শাড়ির মধ্যো আপুর সৌন্দর্য টা আরো বেড়ে গেছে। 

ব্লাক শাড়ি,  হাতে ব্লাক চুড়ি, ব্লাক টিপ, চোখে  ব্লাক কাজল।  এক কথায় ব্লাক এন্জেল। ।।  আর কিছু বললাম না আপনারা আবার প্রেমে পরে যাবেন। 


আপু আমার তাকিয়ে থাকা দেখে বুঝে গেছে।  সাজটা আমার ভালো লাগছে।  আর কিছু না বলে আপু বলল আমি রেডি তাহলে চল এরপর আম্মুকে বলে আমরা বাসা থেকে বাহির হলাম।।। 

আমি গাড়ি ড্রাইভ করছি আর বারবার আপুর দিকে তাকাচ্ছি, আজ আমাদের যে কেউ দেখলেই বলবে পারফেক্ট কাপল।। 


আমরা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি দাড় করালাম। পার্টি টা রেখেছে একটা রেস্টুরেন্টে।  


এরপর ভিতরে গেলাম,  কে যানে পার্টিতে আমার জন্য এমন কিছু অপেক্ষা করছে,  আমি ভয়ে শুদু নিধী আপুর দিকে তাকিয়ে আছি.... 


#চলবে

Share:

ভালবাসার গল্প রোমান্টিক হবু বউ পর্বঃ ১

 

ভালবাসার গল্প রোমান্টিক হবু বউ


গল্পঃ রোমান্টিক হবু বউ 

পর্বঃ ১

লেখকঃ  bmpavel

আমিঃ আম্মু আমি এখনি বিয়ে করব না 

আম্মুঃ এখন কে বিয়ে করতে বলছে? 

আমিঃ তাহলে নিধী আপু যে বললো তার সাথে নাকি আমার বিয়ে ঠিক করবে। 

আম্মুঃ হ্য। বাট তদের ত এখনি বিয়ে হবে না পড়াশোনা শেষ হলে। 

আমিঃ আম্মু তুমি পাগল হয়ে গেছো? 

আম্মুঃ পাগল হবো কেন? 

আমিঃ নিধী আপু আমার চাইতে দুই বছরের বড়। 

আম্মুঃ ওটা প্রবলেম না,, নিধী দেখতেও অনেক সুন্দরী আর তকে অনেক ভালোবাসে মেয়েটা। 

আমিঃ তুমি বুঝলে কি করে আমাকে অনেক ভালোবাসে?

আম্মুঃ গতকালকে তুই নিধীকে রেখে কোন বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলি, বাসায় এসে মেয়েটা সেকি কান্না, আর সারাদিন কিছু খাই ও নি। 

আমিঃ আমি কি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে ও পারব না নাকি?

আম্মুঃ এতো কথা জানি না আমি গেলাম তর আব্বু 

অফিসে যাবে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আয়। 

আমিঃ ওকে যাও। 


আম্মু চলে গেলো,, আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলাম।  এখন আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে দেয়, আমি নীল আব্বু আম্মুর একমাত্র সন্তান।  সবে মাত্র অনার্স প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট। 


 আর যার কথা বললাম সে হলো নিধী আপু আমার বড় চাচ্চুর মেয়ে,,বড় চাচ্চু আর বড় আম্মু রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় নিধী আপু যখন ক্লাস সেভেনে পড়ে।।  এরপর থেকে নিধী আপু আব্বু আম্মুর কাছেই বড় হয়। আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে, ফ্রেশ হয়ে বাহিরে আসলাম।  

এরপর রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম নাস্তা করতে। 

আব্বু আম্মু বসে আছে টেবিলে। বাট নিধী আপুকে দেখছি না। 


আমিঃ গুড মর্নিং আব্বু 

আব্বুঃ হুম মর্নিং। 

নিধী কোথায়? 

আম্মুঃ আমি গিয়ে ডেকে আসলাম আসলো না,  

নীল গিয়ে দেখ ত। 

আমিঃ একবার যখন আসে নাই তাহলে আর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। 

আব্বুঃ প্রয়োজন নেই মানে,,ওকে ছারা কখনো নাস্তা করেছি। 

আমিঃ ওকে যাচ্ছি। 

নিধীর জন্য একবারে আদর উতলে পরে, আর আমি না খেয়ে থাকলে একবার জিঙ্গাস ও করে না।

( বিরবির করে বললাম) 

আব্বুঃ কিছু বললি? 

আমিঃ না। 


এই বলে আমি আবার উপরে চলে আসলাম।  উপরে এসে নিধী আপুর রুমে চলে গেলাম,,। রুমে 

গিয়ে দেখি আপু সুয়ে আছে আর ফোনে কি যেনো দেখছে। আমি কিছু না বলে উঁকি দিলাম, দেখি আপু আমার পিকচার দেখছে। তার সারাদিন এই এক কাজ ই সারাদিন ই আমার ছবি দেখা।।   


আমিঃ আপু 

নিধীঃ কে কে? 

হঠাৎ করে ডাক দেওয়াতে ভয় পেয়ে গেছে। 

আমিঃ আমিই,সামনে থেকে দেখেও মন বরে না 

যে মোবাইলেও দেখতে হবে। 

নিধীঃ তুই এতোটা কিউট যে সারাদিন ই তকে দেখতে ইচ্ছা করে। 

আমিঃ হয়ছে আব্বু ওয়েট করতেছে চলো নাস্তা

করতে।  

নিধীঃ না আজকে অন্য কিছু খাবো। 

আমিঃ কি খাবে? 

নিধীঃ কাছে আয় তারপর বলছি,,  

আমিঃ না তোমার কাছে আমি যাবো না। 

নিধীঃ কেনো? 

আমিঃ তুমি একবার এই নিরীহ ঠোঁটের যে অবস্থা করেছিলে,  সাতদিন বাসার বাহিরে যেতে পারি নি।। 

নিধীঃ আজকে এমন হবে না। 

আমিঃ তোমার লজ্জা করে না আপু?

নিধীঃ কেন? 

আমিঃ ছোট ভাইকে লিপ কিস করতে চাও। 

নিধীঃ একটা থাপ্পর দিয়ে সবগুলা দাত ফেলে দিবো ফাজিল,,  তুই আমার ভবিষ্যৎ বর।

আমিঃ নাস্তা করতে কি যাবা? 

নিধীঃ কাছে না আসলে যাবো না। 

আমিঃ ওকে তোমার ইচ্ছা,  বাট তুমি না খেলে আব্বু নাস্তা না করে অফিসে চলে যাবে, আব্বু 

না খেয়ে অফিসে চলে গেলে আম্মু খাবে না, আর আম্মু না খেলে আমিও খাবো না,। আর তুমি যদি চাও আমি না খেয়ে থাকি তাহলে আমি যাচ্ছি। 

নিধীঃ ভালোই দুর্বল পয়েন্ট যেনে গেছিস। 


আমি মুচকি হাঁসি দিলাম। তারপর  আপু বলল তকে কতো বার বলব তুই আমার সামনে হাঁসি দিবি না,  তুই হাসলে যে আমার নিজেকে কন্ট্রোল করতে বড্ড কষ্ট হয়।  আমি কিছু না বলে হাটা দরলাম, নিধী আপু ও আমার পিছন পিছন হাঠতে লাগলো।

আমরা নিচে চলে আসলাম ।  


নিধীঃ গুড মর্নিং আব্বু 

আব্বুঃ গুড মর্নিং নাস্তা করা শুরু করো। 


এরপর নাস্তা করে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। আজকে আর কলেজে যাবো না,তাই বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম। বারোটা সময় বাসায়

চলে আসলাম। এই দুইঘন্টায় নিধী আপু কমপক্ষে 

বিশ বার কল দিছে।  আমি বাসায় গিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।  রুমে এসে নরমাল ড্রেস পরে নিলাম। এরপর তোয়ালে হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।  


ওয়াশরুমে দরজা দাক্কা দিতেই যা দেখলাম, সেটা 

দেখার জন্য একটুও প্রস্তুুত ছিলাম না।  ও আমার ওয়াশরুমে কি করছে৷ আসছে আসছেই অন্তত দরজা টা ত লক করবে। 


# চলবে

Share:

নতুন গল্প সংসার

নতুন গল্প সংসার


গল্পের নামঃ সংসার 

লেখক অাবিদুর রহমান


 "তোমার স্ত্রী দেখতে যেমন সুন্দরী তেমনি স্মার্ট,

শিক্ষিত। তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখলে বাদরের গলায়

মুক্তোর মালা কথাটি মনে পড়ে যায়।" অফিসের ফাইলগুলো

হাতে দিয়ে কথাগুলো শুনিয়ে দিলো অফিসের বস। আমি শুধু

স্যারের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে রুম থেকে

বেড়িয়ে আসলাম।

বাসায় ফিরে দেখি পাশের বাসার ভাবী নীলাকে তার গলার হারটা

দেখিয়ে বলছে "তোমার ভাইয়া আমাকে দুদিন পর পরই এমন

দামী গিফট দেয়। তোমার জন্য খারাপ লাগে।মনে তো হয় না

কোনোদিন কোনো ভালো উপহার পাও নিষাদের কাছ

থেকে।" আমাকে আসতে দেখেই ভাবী নীলার কাছ

থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। নীলার দিকে চেয়ে

দেখি মুখটা মলিন হয়ে গেছে। আমি যে কথাগুলো শুনেছি

ওকে বুঝতে দিলাম না। জানলে আমার চেয়ে ও বেশি কষ্ট

পাবে।

অনেকদিন ধরেই অফিসের ব্যস্ততার জন্য নীলাকে নিয়ে

বাসার বাইরে যাওয়া হয় না। ভাবলাম নীলাকে নিয়ে ওদের বাসায়

ঘুরে আসি। নীলা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমার শ্বশুর

শ্বাশুড়ীও অনেক ভালো মনের মানুষ। দু কেজি মিষ্টি আর কিছু

ফলমূল কিনে নীলাকে নিয়ে ওদের বাসায় গেলাম। আমাদের

দেখে উনারা খুবই খুশি হলেন। আমার শ্বাশুড়ীর হাতে মিষ্টির

প্যাকেট আর ফলমূল দিতেই কাকি শ্বাশুড়ী আমার শ্বাশুড়ী মাকে

ফিসফিসিয়ে বললেন, "কেমন জামাই দেখে মেয়ে বিয়ে

দিলেন দু কেজি মিষ্টি আর কিছু সস্তা ফলমূল নিয়ে এসে

পড়েছে। আমার মেয়ে জামাইরা আসলে কমপক্ষে ৫ কেজি

মিষ্টি নিয়ে আসে সাথে দই ফলমূল বড় মাছ তো আছেই।

প্রতিবারই আমার আর আপনার দেবরের জন্য শপিংও করে দিয়ে

যায়।" কথাগুলো শুনে এতোটাই খারাপ লেগেছিলো মনে

হয়েছিলো এখনি বাড়ি ফিরে যাই। নীলার মুখের দিকে চেয়ে

যেতে পারলাম না। এতদিন পর নিজের বাড়িতে এসে মুখের হাসি

সরছেই না ওর।

দুদিন পর শ্বশুরবাড়ি থেকে

বাড়ি ফিরতেই নিলা বললো "কিছুদিন পর আমাদের ফার্স্ট ম্যারেজ

এনিভার্সারি। আমি চাই আমাদের কিছু আত্নীয় আর

প্রতিবেশীদের ইনভাইট করতে।" বিয়ের একবছর হতে

চললো অথচ নীলা মুখ ফুটে আজ অবধি কিছু চায় নি। আমি ওর

দিকে চেয়ে হেসে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।

এনিভার্সারির দিন সবাই যখন একসাথে বসে গল্প করছে আমার

অনুপস্থিতিতে নীলার বান্ধবী সবার সামনে বললো "তোকে

যে কি দেখে এমন ছেলে দেখে বিয়ে দিলো না আছে

টাকা, না আছে চেহারা। স্যার কথাটাকে সায় দিয়ে বললেন ঠিকই

বলেছো নীলার মতো মেয়ে নিষাদের চেয়েও ভালো

হাজবেন্ড ডিজার্ভ করে।" নীলা মুখের হাসিটা প্রশস্ত করে

বললো, "তোর হাজবেন্ডের তো চেহারা আর টাকা দুটোই

আছে তাহলে দুদিন পর পর মাতাল হয়ে পিটিয়ে তোকে বাপের

বাড়ি পাঠিয়ে দেয় কেন? আমার হাজবেন্ড দেখতে যেমনি

হোক আজ অবধি ও আমাকে তুই করেও ডাকে নি, হাত উঠানোর

প্রশ্নই উঠে না। আর ভাবী সেদিন বললেন না যে আমার

হাজবেন্ড দামী দামী গিফট দিতে পারে না। ও নিজেই আমার

জন্য অমূল্য উপহার। কারণ ও চরিত্রবান। আর পাঁচজন স্বামীর

মতো স্ত্রীকে দামী দামী গিফট দিয়ে ভুলিয়ে পাশের বাসার

মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে না। আমার স্বামী

হয়তো শ্বশুরবাড়িতে গেলে পাঁচ দশ কেজি মিষ্টি, দই আর বড়

মাছ নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু বাবা মায়ের বিপদে সবার আগে

ও এগিয়ে আসে। বাবা মাকে যেমন সম্মান করে তেমন

ছেলের মতো আগলে রাখে। কাকিমা শুনেছি আপনি অসুস্থ

হয়ে পড়েছিলেন তবুও নাকি আপনার মেয়ের জামাই দেখতে

আসে নি। আসলে আমরা যখন অন্যের সংসারের দোষত্রুটি

খুজে বেড়াই নিজেদের দোষগুলো খুজি না। স্যার আপনি যে

বললেন আমি নিষাদের চেয়েও ভালো স্বামী ডিজার্ভ করি। ওর

চেয়ে ভালো হাজবেন্ড হতে পারে না। সমাজের কিছু মানুষ

আছে যারা স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদের জন্য দায়ী।" এক

নিশ্বাসে কথাগুলো শেষ করলো নীলা। ওর কথা শুনে কারো

মুখ দিয়েই কোনো কথা বের হচ্ছে না।

খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যখন যার যার বাসায় ফিরে গেলো নীলা

আমার হাত ধরে বললো চলো একটু ছাদে যাই। আমি নীলার

গালে হাত দিয়ে বললাম এত কথা শুনিয়ে দেওয়ার কি খুব দরকার

ছিলো। নীলা আমার দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় বললো "যা

করেছি বেশ করেছি আমার বর কে বলবে কেনো, ওদের

বরকে গিয়ে বলুক।" মেয়েরা আর যাই করুক অন্যের মুখে

স্বামীর নিন্দা শুনতে পারে না। আমি হেসে বললাম, ওহ আচ্ছা।

আর মেম আপনি যখন আমায় বাদর হনুমান ডাকেন তখন? "আমার

স্বামীকে আমি যা ইচ্ছে বলবো ওরা বলবে কেনো? ওরা কি

তোমার বউ?" অভিমানী স্বরে কথাগুলো বলে নীলা

একদৃষ্টিতে চাঁদ দেখা শুরু করলো । আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ

হয়ে দেখছি জোছনার আলোয়,লেপ্টে যাওয়া কাজলে

অপূর্ব লাগছে আমার পাগলীটাকে।


Share:

অবশেষে তুমি আমার ভালোবাসার গল্প


 অবশেষে তুমি


আমার💗

Written By Nihan Hossain NeeL😎

-- নিহি.. আমি

 সত্যিই তোমাকে খুব ভালোবাসি।


নিহিঃ দেখুন.. আপনারা আমার আশ্রয়দাতা!! আপনার আর আমার ভালোবাসা আপনার বাবা-মা মেনে নিবে নাহ!! প্লিজ.. আপনি হাতটা ছাড়ুন!!


নিহানঃ নাহ.. তুমি আগে হ্যাঁ বলো, তারপরে ছাড়বো।


নিহিঃ হাত ছাড়তে বলছি কিন্তু!! 


নিহানঃ বলছি তোহ আমার উত্তর দেও, তাহলেই ছেড়ে দিবো।


নিহিঃ ঠাসসস!! ( থাপ্পাড়টা মেরে আমি চলে আসি। আমি মা-বাবা হারা একটা এতিম মেয়ে। নিহান ভাইয়ার আম্মু আমাকে এই বাসায় রেখে, পড়াশুনা করাচ্ছে!! উনি আমাকে অনেক বিশ্বাস করেন। আমি নিহান ভাইয়া সাথে কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে, আন্টির বিশ্বাস ভাংতে চাই নাহ!! তাই আমি নিহান ভাইয়ার সাথে এমন করলাম।)


নিহানঃ নিহি যে আমাকে থাপ্পাড় দিবে, এটা আমি কখনো আশা করি নাই। যেই মা-বাবা পর্যন্ত হাত তুলে নাই, সেই শরীরে আজ পছন্দের মানুষটা আঘাত করে চলে গেছে। অজান্তেই চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি জড়ে পড়লো। জীবনে কোনো মেয়েকে ভালোবাসি নাই, কারণ শুধু মনের মতো একটা পাগলির দেখা পাই নাই বলে। আর এমন একটা মেয়ে পাইছি.. সেও ভুল বুঝে চলে গেলো। এসব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। সন্ধ্যার পর রুমে গিয়ে দরজা লক করে উচ্চ সুরে গান লাগিয়ে দিছি। কিন্তু ওই কাহিনীটা আমার বার বার কল্পনায় আসছে। এসব ভাবতে ভাবতে রাত ১১.০০ টা বেজে গেছে। গানও ভালো লাগে নাহ!! তাই গান বন্ধ করে বসে আছি। এমন সময় আম্মু এসে ডাক দিলো,,,


আম্মুঃ নিহান?? অনেক রাত হয়ে গেছে। তারাতাড়ি খেতে আয়।


নিহানঃ আম্মু.. আমি খাবো নাহ!! এখন আমার ক্ষিদা নেই।


আম্মুঃ কেনো.. বাহির থেকে খেয়ে আসছিস??


নিহানঃ নাহ.. আম্মু।


আম্মুঃ তাহলে ক্ষিদা নাই কেনো??


নিহানঃ এমনিতে। 


আম্মুঃ বাবা.. তোর কি কিছু হয়ছে?? তুই এভাবে মন খারাপ করে বসে আছিস কেনো??


নিহানঃ এমনি.. আম্মু!! আমার ভালো লাগছে নাহ!!


আম্মুঃ আচ্ছা.. আমি খাইয়ে দেই??


নিহানঃ আম্মু.. বলছি তোহ আমি খাবো নাহ।


আম্মুঃ নিহি.. টেবিল থেকে ভাত আর তরকারিটা নিয়ে আয় তোহ!!


নিহানঃ আম্মু.. আমি তোমাকে সোজা বাংলায় কথা বলছি তুমি কি বুঝতে পারছো নাহ!! আমি কত বার বলবো যে আমি খাবো নাহ!!


আম্মুঃ বাবা.. তুই এভাবে কথা বলছিস কেনো?? ঠিক আছে.. ঘুমিয়ে পড়!!


নিহিঃ আমি দারজার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখি নিহান ভাইয়া আন্টিকে অনেক রেগে বলছে খাবে নাহ!! আমি জানি.. নিহান ভাইয়া কেনো এমন করছে। কিন্তু আমিও তোহ নিরুপায়!! নিহান ভাইয়াকে যে আমার ভালো লাগে নাহ বা আমি ভালোবাসি নাহ এমন কিছু নাহ!! হুম.. আমিও নিহান ভাইয়া প্রচুর ভালোবাসি!! কিন্তু আন্টির বিশ্বাস যে আমি ভাংতে পারবো নাহ!! যখন আমার কেউ ছিলো নাহ, তখন এই আন্টিই উনার বাসায় আমাকে নিয়ে আসে। আন্টি.. মন খারাপ করে নিহান ভাইয়ার রুম থেকে বের হয়ে গেলো। আমি আন্টির পিঁছু পিঁছু চলে এলাম।


নিহানঃ আমি দরজা লাগিয়ে শুয়ে আছি। আজ সারারাত আমার ঘুম আসে নি। সকাল সকাল উঠে ছাঁদে গিয়ে বসে আছি। এমন সময় নিহি কি কাজে জানি ছাঁদে উঠে। চোখে চোখ পরার পর দেখি নিহি কাঁন্না করে নিচে চলে গেছে। আমি কতক্ষণ পর নিচে গিয়ে দেখি, আম্মু.. খাবারের টেবিলে অপেক্ষা করছো। আমি কিছু নাহ বলে সোঁজা আমার রুমে প্রবেশ করে বসে আছি।


আম্মুঃ নিহান.. বাবা?? তোর কি হয়ছে, আমাকে বল?? এইভাবে মনমরা হয়ে বসে থাকলে কি হবে?? কালকে থেকে তোহ কিছু খাচ্ছিসও নাহ!!


নিহানঃ আম্মু.. আমার কিছু হয় নাই।


আম্মুঃ আমরা কি তোকে কিছু বলছি??


নিহানঃ আমি কি বলছি তোমরা আমাকে কিছু বলছো!!


আম্মুঃ উহুম.. বলিস নি!! 


নিহানঃ তাহলে এত এডভান্স কথা কেনো বলো??


আম্মুঃ আচ্ছা.. বাবা, এখন খেয়ে নে নাহ!!


নিহানঃ আম্মু.. আমি খাবো নাহ।


আম্মুঃ আমি আর তোর বাবা মরলে খুশি হবি??


নিহানঃ আম্মু.. তুমি এইসব আবোল-তাবোল বলছো!!


আম্মুঃ আজকে তোর আব্বু বাসায় আসছে।


নিহানঃ হঠাৎ করেই আব্বু আসছে যে??


আম্মুঃ কি জানি একটা অনুষ্ঠান করবে বললো!!


নিহানঃ ওহহহ.. ভালো।


আম্মুঃ বাবা.. এখন খেয়ে নে। নাহলে কিন্তু আমিও আর খাবো নাহ।


নিহানঃ আম্মু.. তুমি কেনো খাবে নাহ??


আম্মুঃ তুই আমার একমাত্র ছেলে!! যদি তুই নাহ খেয়ে থাকিস, তাহলে আমি কি করে খাবো।


নিহানঃ আচ্ছা.. তুমি খায়িয়ে দেও।


আম্মুঃ এইইই তোহ আমার লক্ষী ছেলে।


নিহানঃ আমি খেয়ে-দেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলাম। কারন মন যতই খারাপ থাকুক.. কলিজার বন্ধুগুলো মন ভালো করে দেই। বাইরে থেকে আড্ডা দিয়ে এসে দেখি আব্বু আসছে। তারপরে আব্বুর সাথে অনেকহ্মন কথা বলে, নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।


২ দিন....


নিহানঃ আজকে আমাদের বাসায় অনুষ্টান। আমাদের প্রায় সব আত্মীয়রাই আসছে। হঠাৎ চোখ যায় মিলির উপর। মিলি আমার খালাতো বোন। ও আমাকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে। আর অনেকবার প্রপোজও করেছিল কিন্তু আমি এক্সেপ্ট করি নি!! আজ ওরে দিয়া একটু গেইম খেলি দেখি কি হয়।


মিলিঃ নিহান.. কেমন আছো??


নিহানঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো!! তুমি??


মিলিঃ আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আসো তোমার সাথে কথা আছে।


নিহানঃ এই বলে মিলি আমার হাত টেনে নিহির সামনে দিয়ে আমার রুমে ডুকে, দরজা ভেতর থেকে লক করে এসে.. আমাকে বলল,,


মিলিঃ নিহান.. আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।


নিহানঃ ওহহহ!!


মিলিঃ হুমম!! নিহান.. তুমি আমাকে ভালোবাসো নাহ কেনো? আমার মাঝে কি নাই??


নিহানঃ তোমার ভিতরে সব আছে। 


মিলিঃ তাহলে আমার প্রেমে কেনো সারা দিচ্ছো নাহ!!


নিহানঃ আচ্ছা.. আমি ভেবে দেখবো। এখন যাও আমার কাজ আছে।


মিলিঃ কি কাজ??


নিহানঃ মেহমানদের দেখাশোনা করা করতে হবে।


মিলিঃ ওহহহ.. আচ্ছা। একটু ভেবে দেখো কিন্তু!! 


নিহানঃ সন্ধ্যায় মিলি আর আমি ছাঁদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।


মিলিঃ আমি যে তোমাকে বড্ড ভালোবাসি!! এটা কি তুমি বুঝো নাহ??


নিহানঃ হুমমম.. বুঝি তোহ!!


মিলিঃ তাহলে তুমি সারা দিচ্ছো নাহ কেনো??


নিহানঃ এমনি!! এখন বাই। (বলে হাঁটা শুরু করছি। তখনই মিলি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরো বলছে, লাভ ইউ!! ঠিক তখনই আমি সামনে তাকিয়ে দেখি নিহি। নিহি আমাকে আর মিলিকে এভাবে দেখার সাথে সাথে মন খারাপ করে, নাহ দেখার ভান করে ছাঁদ থেকে নেমে গেলো।


নিহানঃ মিলি?? একটা কথা বলি.. মন খারাপ করবি নাহ তোহ??


মিলিঃ নাহ.. বলো??


নিহানঃ আমি নিহিরে ভালোবাসি রে। ওরে ছাড়া আমি শূন্য হয়ে যাবো। 


মিলিঃ তুমি কিহ সত্যিই.. ওরে ভালবাসো??


নিহানঃ হুম!! শুধু ভালবাসি নাহ.. অনেক অনেক ভালবাসি। ওরে ছাড়া আমি থাকতে পারবো নাহ। প্লিজ.. মিলি তুই এটাতে একটু সাহায্য করবি!!


মিলিঃ আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তাহলে আমার কি হবে??


নিহানঃ প্লিজ.. আমার জন্য একটু সেক্রিফাইস কর!!


মিলিঃ ওকে। (কাঁন্না করে)


নিহানঃ প্লিজ.. তুই এইভাবে কাঁদিস নাহ!! মিলি.. তুই বিশ্বাস কর, ওরে আমার জীবন থেকেও বেশি ভালবাসি।


মিলিঃ ওকে যাও!! ভালবাসা তোহ আর জোড় করে পাওয়া যায় নাহ। যদি জোড় করে বা অন্য কোন উপায়ে পাওয়া যেতো তাহলে তোমাকে আমার করে নিতাম ।


নিহানঃ দেখিস.. তুই আমার থেকেও অনেক ভালো ছেলে পাবি।


মিলিঃ আমার তোমার থেকে ভালো ছেলে পাওয়া লাগবে নাহ!! বাই....


নিহানঃ বলেই মিলি চলে গেলো। আমিও রুমে যাচ্ছি.. ঠিক তখন নিহি আমার সামনে পড়লো। আমার দৃষ্টি ওর চোখে পড়তেই, আমার মনে হলো, নিহি অনেক কাঁন্না করেছে। নাহলে ওর চোখ কেনো লাল হবে?? সেদিনের মতো রাতটা এভাবে ভাবতে ভাবতে কেটে গেলো। আর সারা রাতে একটা চিঠি লিখছি, চিঠিটা ছিল এইরকম,, 


নিহানঃ প্রিয় নিহি.. হঠাৎ চলার পথে একটা মুখ একেবারে বুকের মধ্য গেঁথে যায়। এটা কেবল সৌন্দর্যের জন্য নাহ। এই মুখ হাজার মানুষের ভিড়েও আমি দেখতে পাই। সবচেয়ে বড় কথা হলো.. আমি তোমাকে আবিস্কার করেছি একটু একটু করে। মনের চোখ দিয়ে তোমাকে আমি দেখেছি। মন বলে.. স্বর্গ থেকে দেবী এসেছে আমাকে পৃথিবীর ধুলো বালি থেকে আচঁল দিয়ে ডেকে রাখার জন্য। তোমার মুখে কি দেখেছিলাম কে জানে!! ফলে যা হবার তাই হলো!! আমি মুহূর্তেই তোমাকে ভালোবেসে ফেললাম। ভালোবাসার মধ্যে কোনো অপরাধ আমি দেখি নাহ। কারন এতে মানুষের কোনো হাত নেই। কেমন একটা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় হয়ে যায়. আল্লাহ'তালা  ভালো বলতে পারবেন। ইংরেজীতে যাকে বলে.. Love is the gift of God... তাই শাস্তি আমাকে নাহ দিয়ে তাকেই দিও!! শুধু আমারটা আমাকেই বুঝিয়ে দিলেই হবে। আসলে ভালোবাসাহীন জীবন অনেকটা পিথাগোরাসের গানিতিক তও্বের মতো রস-কষহীন। আর ভালোবাসায় ভরা জীবন হচ্ছে.. ভিঞ্চির মোনালিসার মতো রোমান্টিক জীবন। কিটসের কবিতার মতো মধু ভরা মৌচাক। আমার মতে শুধু ভালোবাসার মাধ্যমেই সব স্বপ্ন সত্যি করা যায়। আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। এখন যদি পৃথিবীর সবচেয়ে রুপসী কন্যা এসে "I Love you" বলে, আমি তাকেও রিজেক্ট করে দিবো।আমি বোকার মতো অনেক কিছু লিখে ফেললাম।এতো কিছু লেখার অধিকার হয়তো আমার নেই।তারপরও নিজেকে বাঁচানোর জন্য লিখতে হলো।কথাটা আরো গুছিয়ে বললে যা দাঁড়ায় তাহলো.. "আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো নাহ!!

ইতি 

তোমার উপর অধিকার নাহ পাওয়া একটি অপদার্থ!!


নিহানঃ আমি সকালে উঠে প্রথমই কুত্তিটারে দেখছি!! আমার পাগলীটা কত্ত সুন্দর আর গুছালো। ওরে দেখলে কেনো এতো ভাল্লাগে।

ও আমাকে এমন আকর্ষন করে কেনো?? ও যখন ওয়াশ রুমের দিকে গেছে.. তখন ওর টেবিলে চিঠিটা রেখে আসলাম। এভাবে দুপুর পর্যন্ত গেল।

দুপুর গিয়ে বিকেল হলো তখন দেখি নিহি ছাঁদে যাচ্ছে। আমিও পিছন পিছন গেলাম। আমি গিয়ে ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে....


নিহানঃ নিহি!! তোমাকে চিঠিটা দিয়েছিলাম পাইছো??


নিহিঃ আমি কিছু নাহ বলে, শুধু মাথা ঝাকিয়ে বুঝালাম যে আমি চিঠিটা পেয়েছি।


নিহানঃ যদি চিঠির উত্তরটা দিতে তাহলে খুশি হতাম।


নিহিঃ কোন উত্তর নাই??


নিহানঃ এইডা কি হয়বো নাকি!! আমি কষ্ট করে চিঠি লেখলাম, আর তুমি উত্তর দিবে নাহ!! আচ্ছা.. সত্যিই উত্তর নাই??


নিহিঃ হুম.. একটা উত্তর আছে।


নিহানঃ হুমম.. প্লিজ, তারাতারি বলো??


নিহিঃ আপনি কয়টা প্রেম করেন??


নিহানঃ এখন পর্যন্ত তোহ করি নাই!! কিন্তু তুমি এক্সেপ্ট করলেই, প্রথম প্রেম শুরু হবে।


নিহিঃ তাহলে মিলির সাথে কি করেন??


নিহানঃ মিলিকে আমি বোনের চোখে দেখি।


নিহিঃ তাহলে কাল যে এতো মজা করে জড়িয়ে ধরে ছিলেন??


নিহানঃ মিলি আমাকে ধরছে!! আমি ওকে ধরি নাই।


নিহিঃ ওহহহ.. তাই নাকি!!


নিহানঃ হুম.. সত্যি!! মিলির সাথে আমার কিছু নাই

 আর অবিশ্বাস হলে ওরে ডাক দেই??


নিহিঃ আমি কি বলছি ওকে ডাকতে?? 


নিহানঃ নাহ বলো নাই!! কিন্তু.. 


নিহিঃ আচ্ছা.. প্রেমের আগে বিয়ে করতে পারবেন??


নিহানঃ মানে??


নিহিঃ মানে.. খুব সোঁজা!! আগে বিয়ে তারপর প্রেম।


নিহানঃ তার মানে কিহ তুমি রাজি??


নিহিঃ আমি কি বলছি নাকি যে আমি রাজী??


নিহানঃ হুম.. এটা রাজির লক্ষন।


নিহিঃ হুহ.. খুব ভালোই তোহ অভিজ্ঞতা আছে দেখছি।


নিহানঃ হুম.. তোমার হবু স্বামী নাহ!!


নিহিঃ চুপপপপ!! এখন নিচে গিয়ে নামাজ পরবেন। নাহলে কিন্তু সব বাদ!!


নিহানঃ আমি এই কথা শুনে খুশিতে ওকে জড়িয়ে ধরছি!!


নিহিঃ এইইই..  এইইই.. রাখেন!!


নিহিঃ আমি মুখে বললেও ওকে জড়িয়ে ধরা থেকে আটকাচ্ছি বা অন্যকোনো কিছু করছি নাহ!!


নিহানঃ হুমম.. বলো??


নিহিঃ আমি ওইই দিনের ঘটনার জন্য সরি!! 


নিহানঃ সরি কেনো বলছো??


নিহিঃ ওইদিন রাগের মাথায় হাত উঠালাম.. তাই!!


নিহানঃ ইট'স ওকে!!


নিহিঃ ওইদিনের পর থেকে আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করছি!! কারন শাশুড়ি আম্মু নাকি অনেক আগে থেকেই ভেবে রাখছে, আমাকে আপনার বউ বানাবে।


নিহানঃ মানে কি?? তুমি এইসব কি বলছো?? (অবাক হয়ে)


নিহিঃ হুম!! আন্টি আমাকে সব বলছে!! আর বলছে.. আপনারে যেনো ঠিক করি।


নিহানঃ সত্যিই?? তাহলে তোমাকে আরেকটু জড়িয়ে ধরি??


নিহিঃ লাগবে নাহ!! আপনি গিয়ে ওই মিলিরে ধরেন।


নিহানঃ মিলিরে বোন হিসাবে ধরবো আর তোমাকে বউয়ের মত করে।


নিহিঃ তারপরেও মিলিরে জড়িয়ে ধরবেন??


নিহানঃ আরে.. নাহ!!


নিহিঃ এখনই তোহ বলছো.. স্যরি, বলছেন।


নিহানঃ তোমাকে জড়িয়ে ধরবো সারাক্ষণ 

আর হ্যাঁ এখন থেকে  সর্বদা তুমি করে বলবা


নিহিঃ আচ্ছা.. ঠিক আছে।


নিহানঃ আমার ভাবতেই ভালো লাগছে, নিহি আমার হয়ে গেছে। সত্যিই.. আমি পাগলীটাকে বড্ড ভালোবাসি। আজকেই আম্মুকে বলবো, কালকেই জেনো আমাদের বিয়ে দিয়ে দেই। আর সুন্দরী মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলতে হয়। নাহলে আবার হাত ফঁসকে চলে যেতে পারে!!



Share:

ভালোবাসার গল্প পুরোনা প্রাপ্তি

 


গল্প - পুরোনা প্রাপ্তি

লেখা - Raihan Bin Bk  

-হ্যলো রিয়া।

- হ্যা বলো।

- কোথায় তুমি??  

- আমি তো কলেজ এ। 

- কলেজ এ কেনো। তুমি আর আমি এক সাথে কলেজ এ যাওয়ার  কথা ছিলো।

- ও হে,  মনে ছিলো না।

- মানে কি?? 

- কি আবার!! 

- আমার সাথে কলেজ এ যাবা এটাও আজকাল ভুলে যাও। 

- দূর কথা বাড়াইও না..  ক্লাস শুরু হবে.  কলেজ এ আসো তারাতারি।

- হুম আসতেছি।

- ফোন রাখলাম।

 - আচ্ছ।।


রিয়ার সাথে কথা বলে কলেজ এর দিকে রওনা হলাম।  

কালকে রাত এ ওর সাথে কথা বল্লাম,  যে আমরা এক সাথে কলেজ যাবো. কিন্তু এই কথা ও সকাল এ ভুলে গেলো ।

এ কথা তো ওর ভুলার কথা না..  নাকি ও ইচ্ছে করেই এমন করছে।  

যাই হোক কলেজের দিকে রওনা দিলাম


  কলেজে ডুকতেই দেখলাম রিয়া অন্য ছেলেদের সাথে হেসে হেসে কথা বলতেছে.... 


ছেলেদের সাথে কথা বলা...  এখন ওর  প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে.. 


না এটার একটা  ফয়সালা  করা দরকার..  ও আমার Gf ও  সব কিছু ওর ইচ্ছা মত করতে পারে না।


ক্লাসের শেষে ওর হাতটা টেনে কম্পাসের পিছনে নিয়ে গেলাম। 

 

রিয়া - আরে এইভাবে হাত টানতেছো কেনো? 

আমি - এই সমস্যা কোথায় তোমার? 

রিয়া-  আমার কোনো সমস্যা নাই 

আমি - তো ছেলেদের সাথে কি এইসব। 

রিয়া - ছেলেদের সাথে এইসব কি মানে...  ওরা আমার ফ্রেন্ড এবং ভালো ছাএ....  তোমার মত এমন লাস্ট বেন্সের ছাএ না।

বলেই চলে গেলো.... 


সকাল সকাল মন খারাব করে দিলো... এখন কলেজে থাকলে ওর সাথে ঝগড়া হবে তাই..  কলেজের বাহিরে টং দোকানে বসে সিগারেট ধরালাম..  তেমন খাই না মন মেজাজ খারাব থাকলে খাই এ আরকি .

.

রিয়া তখন কিসের জন্য জানি দোকানটাতে   আসলো..  এসে দেখে আমি সিগারেট খাচ্ছি.  

কিন্তু ও আমাকে কিছু বল্লো না..  যে মেয়ে সিগারেট দেখলে কিল ঘুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিত  সেই মেয়ে কিছু বলছে না...

কিছু বলার আগেই রিয়া ওর কাজ শেষ করে..  চলে গেলো.   আমি  পিছন থেকে শুধু ওর  চলে যাওয়াটা দেখলাম..


আরো কয়েকটা সিগারেট ধরালাম... কেন জানি খুব খারাব লাগতেছে... ইচ্ছে করতেছে সিগারেটর আগুন দিয়ে টোঠ টা পুড়িয়ে ফেলি  ..


মাথাটা জিম জিম করতেছে.  চোখে যাপসা দেখতে শুরু করলাম...   একটা রিকশ ওঠে বাসায় চলে আসলাম....


বাসায় আসার পর আম্মুর হাজার টা প্রশ্ন..  এখন কেনো আসলাম.. কলেজ এ গেলাম না কেন.. আরো অদ্ভুত কথা শুনালো...  আমি কিছুই বলতে পারলাম না মুখ দিয়ে কোনো কথা আচ্ছে  না..   


রুমে গিয়ে  ..  বালিসে মাথা রেখে চোখ বুঝলাম.. ..  যেনো চোখ বুঝলেই সব ক্লান্তি চলে যাবে...

একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম..

ঘুম ভাঙ্গলো আছরের নামজ এর পর..   চোখ মেলে দেখি ২-৩ টা কম্বল আমার শরিরে..  মাথায় জ্বরের পট্টি লাগানো...

অনুভব করলাম কম্বলের ভিতরে সব জেনো পড়ে যাচ্ছে..

বুঝতে পারলাম আমর খুব জ্বর এসেছে  ...

আম্মুকে ডাক দিলাম..  আম্মু আসলো.   হাতে খাবার নিয়ে  ..  খুব আদর করে খাইয়ে দিলো ..  মুখে একদম রুচি নেই..  আম্মু অনেকটা ছোট বেলার মত জোর করে খাওয়ালো  ..


খাওয়া শেষে বিছানা থেকে ওঠে নিচে নামতে যাবো তখনই  মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলাম।  আম্মু  আমাকে ধরে বিছানায় শুয়ালো..


রিয়ার কথা মনে পড়লো  ..  তারাতারি ফোন চেক করলাম.  ও অনেক মেসেজ দিছে এতখনে..   কই একটা মেসেজ ও করেনি   ..  ফোন ও দেয়নেই...

না চাইতেও চোখের কয়েক ফোটা জ্বল গড়িয়ে পড়লো    

.

. আমি অসুস্থ  ৩ দিন হয়ে গেলো.

৩ দিন এ  রিয়া একবার ও ফোন দেয় নাই কোনো মেসেজ ও দেয় নাই। 

মরে আছি নাকি বেচেঁ আছি কি করছি ...


পরের দিন জ্বর নিয়ে  কলেজ গেলাম বন্ধুদের সাথে  দেখা করে ক্লাস এ ডুকলাম। 

রিয়াকে দেখলাম সামনের বেন্সে বসে আছে..  ভালো ছাএী বলে কথা..... 


ক্লাস শেষে রিয়ার সাথে কথা বল্লাম 


আমি - ৩ দিন হলো আমি কলেজে এ আসি না....  আমি কেমন আছি..  কেনো কলেজে এ আসি না কোনো খোজ নিছো 


রিয়া - ...  তোমার আর খোজ খবর কি নিবো..৷ সারাদিন গেমস খেলছো আর ঘুমাইছো.৷...  এইসব ছারা অন্যকিছু করতে পারো নাকি...?

আমি - তোমার এমনটাই মনে হইছে আমি এইসব করছি

রিয়া - হে

আমি - আচ্ছা  কি সমস্যা বলো

রিয়া - ভালো লাগে না

আমি - কি..

রিয়া - এই রিলেশন টা

আমি - কেনো

রিয়া - জানি না

আমি - বলো

রিয়া - আমি ব্রেকআপ চাই...  তুমার সাথে রিলেশনশিপ রাখবো না.. 


আমি - মানে কি বলতেছো এইসব 

রিয়া - যা শুনছো তাই... 

আমি - মাথা ঠিক আছে

রিয়া - হে এখন  ঠিক আছে..  এতদিন ছিলো না

আমি - মানে

রিয়া - এত মানে মানে করবা না

আমি  - আমার কি দেষ বলো

 তুমার মত থার্ট ক্লাস ছাএের সাথে আমি রিলেশন করবো না .৷  কলেজের অনেক ভালো ভালো ছাএ ছেলেরা আমাকে প্রোফজ  করে । 

 তুমি কি করবা ফিউচার এ....  তুমার কোনো ভবিষ্যৎ আছে..৷ কি দেখে তুমার সাথে রিলেশন করবো.... 

আমি - তো কি হইছে..  

রিয়া - আমাকে একা থাকতে দেও।

আমি - কেনো আমি কেমন তা দেখে  রিলেশন করো নাই

রিয়া - হে,  এখন করবো না আর ব্যাস.  আর কোনো কথা বলতে চাই না এই বিষয় নিয়ে 


আমি - ও আমি তো খারাব ছাএ..  না ঠিক এই বলছো আমার কোনো ভবিষ্যৎ নাই।  

অন্য কারো সাথে রিলেশন করে সুখে থাকো। 

 

রিয়া - ভালো ছাএ হতে পারলে আইসো আবার।  তা না হলে আসা লাগবে না 

আমি - পড়ালেখা করবো না আর

রিয়া - ওকে আল্লাহ হাফেজ।


আমি -  আমি থাকবো না তার  জন্য খুব মজা পাচ্ছো...  

রিয়া- অবশ্যই। তোমার মত bf  থাকার থেকে না থাকা অনেক ভালো 

আমি - আমার মত

রিয়া - হে.. ঠিক তোমার মত 


আমার মাথাটা একদম গরম হয়ে গেলো..  এমনেই অসুস্থ তার অপর রিয়ার কথার এই অবস্থা...


এক দৌড় এ ক্লাসের দরজা.  জানালা বন্ধ করলাম।

রিয়া - এ কি করতেছো এইসব

আমি - একটু পড়েই বুজবি দারা

রিয়া - দরজা খুলো আমি বেড় হবো

আমি - আরে দাড়া না..  পাগল হচ্ছিস কেনো


তখন আমি ঠাস করে ওর মুখ চেপে ধরি   ...  ওর চোখ আমার চোখের দিকে  ..  আর মুখ থেকে গোঙ্গানির শব্দ।

ওর চোখে ভালো করে তাকালাম..  কি সুন্দর চোখ... কি মায়া..   কিন্তু আমার সাথে এমন করলি কেন.   ভালোইতো বেসেছিলাম।  


ওর কষ্ট হচ্ছে দেখে ছেড়ে দিলাম।

রিয়া - যতটুকু মন এ ছিলা  ..  তাও নষ্ট করে ফেল্লা

আমি - তুৃৃমি ভালো করেই জানো.  তুমার সাথে আমি  কখনো খারাব কাজ করবো না

রিয়া - হে তা তো দেখাইলা এখন

আমি - যাইহোক আমাদের  মাঝে আর সম্পর্ক নেই.. 

রিয়া - হে

আমি - যাও  তুমি আগে ক্লাস থেকে বেড় হও.. আমি পরে বেড় হচ্ছি..

রিয়া - ওকে..


রিয়া চলে গেলো..   আমি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়া..  কাদঁতে লাগলাম..

পর্ব:০১

গল্প - পুরোনো পাপ্তি

পর্ব -০২ 

লেখা: Raihan Bin Ak 


রিয়া চলে গেলো..   আমি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে  কাদঁতে লাগলাম। 

আর ভাবতে লাগলাম। 

এটা কি সত্যি আমার রিয়া। যে মেয়ে আমার মন খারাব হলে হাজার বাহানায় মন ভালো করে দিত..!  সে এখন এভাবে কাদাঁছে আমাকে।


ক্লাস রুম থেকে দেখতে পেলাম রিয়াকে।

মুখে কত হাসি।  আমাকে কাদিঁয়ে ও এখন  খুব মজাতে আছে। এটা কেমন ভালোবাসা ছিলো।  ও কি সত্যি ভালোবেসেছিলো আমাকে। 


চোখ মুছে ব্যাগটা কাধে নিয়ে ক্লাস থেকে বেড় হলাম...  রিয়াদের পাশ কাটিয়ে যেতে লাগলাম তখন একটা ছেলে বল্লো।


- রিয়া ভালোই করেসিছ এটার সাথে ব্রেকআপ করে.. !!  ওই কোনো ভাবে তোর যগ্য না 

- হ্যা রে জানি আমি

- হুম


মাথাটা গরম হয়ে গেলো...!!  ছেলেটাকে কষিয়ে ২ টা চর মারলাম... 

 

আমি - বেশি কথা বল্লে এখানেই শুইয়ে দিয়ে চলে যাবো। আমার ব্যাপারে তোর কথা  বলা লাগবে। 

রিয়া - এই তুমি ওরে মারলে কেন


রিয়ার এই কথা শুনে রিয়াকে  একটা থাপ্পর মারলাম

আর বল্লাম

তুই কে আবার কথা বলস...  চুপ একদম চুপ। 


বলে কলেজ থেকে বেড় হয়ে আসলাম

দিন টা অনেক কষ্টে পার হয়।  রাতে না  খেয়ে ঘুমাতে গেলাম।  ঘুম তো আসে না

রাত দুটোর দিকে।হালকা চোখ  লাগে....


সকালে

কিরে ওঠ কয়টা বাজে

কেন

কেন কি কলেজ এ যাবি না

না যাবো না

কেন

এমনি

শরীর খরাব

না 

তাহলে 

প্লিয আম্মু যাও তো একটু ঘুমাতে দেও।

আম্মু যাওয়ার পর আরো কতোখন বিছানায় পরে রইলাম।


রিয়া আমার সাথে এমন করার কারন কি....!!!

আমি খারাব ছাএ।  আমি লেখাপড়া দিয়ে কিছু করতে পারবো না।  এসবই তো

ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দেখালম ইয়ার চেন্জ পরিক্ষার এখনো ৪ মাস বাকি।

এই ৪ মাসে যা  করার করতে হবে।


ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে খাবার খেলাম।  বাড়ির পাশে একটা কোচিং সেন্টার আছে ওখানকার এক বড় ভাইকে ফোন দিলাম।

 

- হ্যালো ভাই। আমি আদি বলছিলাম

- হে ভাইয়া বলো

- ভাইয়া আমি আপনাদের কোচিং সেন্টারে পড়তে চাচ্ছি

- তুমি পড়বা।  

- হ্য ভাই

- বিকালে আসো।  বিকালে একটা ইন্টারের ব্যাচ আছে ওদের সাথে পড়বা।

- আচ্ছা রাখি ভাই।  বিকাল এ দেখা হবে

- আচ্ছা


পড়ার টেবিল থেকে সব বই খাটে আনলাম। 

এ বইের জন্য আমার আজ এই দশা।


ভাগ করে নিলাম কোন দিন কি পড়বো।

আর আমি ততটাও খারাব ছাএ না  যতটা রিয়া ভাবে..  আমি ভালো ছাএই কিন্তু খাম খেয়ালিটা 

বেশি করে ফেলি।  গুরুত্ব কম দেই।


তার পর সরাদিন পড়তে শুরু করলাম।  ফোন থেকে ফ্রি- ফায়ার + ফেবু  সব ডিলেট।  ফোন ধরি না। বন্ধুদের সাথে দেখা করা বন্ধ করে দিলাম


সকাল ভোর এ পড়তে বসি গভীর রাত এ ঘুমাই-

সকাল হয় কখন রাত হয় টের পাই না। 


কলেজ এ খুব কম যাই।  যাতে রিয়া বুঝে আমার পড়া লেখা আগের মতই আছে...  আর কলেজে যেয়েই বা কি করবো...  রিয়া যে সব কাজ করে নিজে ঠিক রাখতে পারবো না । 

আমার সাথে কথা পর্যন্ত বলে না... ..  আমার সাথে এমন করে যেনো কোনো দিন দেখেইনি আমাকে।


আমি ও নিজের এডিটিওট নিয়ে থাকি কারো সাথে কথা বলি না। 


নিজেকে নতুন ভাবে সবার কাছে পরিচয় দিতে হবে যাতে কেউ বাজে ছাএ বলতে না পারে।


এভাবে কেটে গেলো কিছুদিন।

রিয়া আর আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি অবশ্য রিয়ার মেসেজ ফোনের আশায় থাকতাম।


একটাবার আমার খোজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না।


আজকে  শেষ ক্লাস ।  স্যার মেডাম যার যার মত করে সাজেশন দিয়ে গেলো।


ক্লাস থেকে বের হয়ে হাটতে লাগলাম গেটের দিকে তখন রিয়াকে দেখলাম।

ও  কলেজে  না সেজে আসলেও খুব পরিপাটি থাকতো। আমি বল্লতাম সেজে আসবা ও বলত না   ছেলেরা  তাকিয়ে থাকবে আমি  তখন ওর গালটা একটু টেনে দিতাম।


আর এখন সম্পর্ক কত দূরে। খুব ইচ্ছে করছে ওর পাশে যেয়ে বসতে ওর গাল টা আলতো ছুয়ে দিতে।


চোখের জ্বলটা হাত দিয়ে মুছে কলেজ থেকে বের হলাম তারপর বাসায় চলে আসলাম 


বাসায় এসে লান্স করে লম্বা একক্টা ঘুম দিলাম।

ঘুম থেকে ওঠে পড়তে বসলাম।


এভাবে ৭ টা দিন কেটে গেলো

সকালে কলোজ এ গেলাম আজ থেকে পরিক্ষা শুরু।


হলে যেয়ে দেখি রিয়া আমার সমানের ছিটে। ২ জন এল সাথে ভর্তি হয়েছিলাম তাই এখন এক সাথে সিট পরা 


রিয়াকে কিছু বল্লাম না চুপ চাপ নিজের ছিটে বসে রাইলাম

৩ মিনিট পর স্যার আসলো। খাতা প্রশ্ন দিলো।

প্রশ্ন হাতে পেয়ে আমি খুবই খুশি কারন সব আমার কমন এসেছে। কিন্তু এটা রিয়া কে বুঝতে দেওয়া যাবে না। ১০ মিনিট কিছু লিখলাম  না।

রিয়া এ নিয়ে ২ বার ঘার নেড়ে দেখেছে আমি কি করি কিন্তু আমি তেমন পাত্তা দেইনি।  ১০ মিনিট পর লেখা  শুরু করলাম


লিখতে হঠাৎ খরে মেডাম এসে বল্ল এই ছেলে মাথার চুল এত বড় কেনো চুল কেটে আসতে পারো না 

আমি তখন মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম চুল তো সত্যি অনেক বড় হয়ে গেছে।


এ কথা শুনার পর হলের সবাই হাসা শুরু করলো

আমি কিছু বল্লাম না চুপ চাপ লিখতে লাগলাম


পরিক্ষা শেষ হলো লাইফ এ প্রথম বার পরিক্ষা দিয়ে এত ভালো লাগলো।

কারো সাথে কথা বল্লাম না বাসায় চলে আসলাম।


ধীরে ধীরে সব গুলো পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো।

পরিক্ষা গুলো অনেক ভালো হয়েছে।  ভালো রেজাল্ট করবো ইনশাল্লাহ ।


শেষ পরিক্ষার দিন হল থেকে বের হতেই রিয়ার ডাক

আদি

কে

আমি

আমি কে

রিয়া

হে বলেন

কেমন আছো

ভলো

হে

আর  কিছু

পরিক্ষা কেমন হলো

৩ টা পাশ করবো আর বাকি গুলো ফেল।

সত্যি খারাব হইছে

হে


জানি না কেন এইসব বলার পর রিয়া আমাকে কষিয়ে একটা থাপ্পর মারলো

আমি কিছ বলতে যাবো তার আগেই তেরে হল থেকে  বেড়িয়ে গেলো


আমি গালে হাত দিয়ে বসে পড়লাম

ও আমাকে মারলো কেন

তারাতারি করে বেড় হলাম রিয়া কে ডাক দিলাম

- এ রিয়া

- কি

- মারলা কেন আমাকে

- ইচ্ছে হইছে

- ও আচ্ছা ওইদিন যে তোমাকে আর তোমার

 বি এফ কে মারছিলাম তাই আজকে আমাকে মারলা।

- হ্যা একদম তাই

- ওকে গুড বায়

- বায়

 

রিয়া চলে গেলো আমি শুধু ওর চলে যাওয়াটা দেখলাম।


হাটতে হাটতে বাসায় চলে এলাম

আম্মু - কিরে পরিক্ষা কেমন দিলি

আমি - ভালো।

আম্মু - যাক ভালো।  কিন্তু বুজলাম না  তুই এত ভালো করে পড়লি কেন

আমি - একটা কথা শুনো নাই...  প্রতিটি ছেলের জীবনে উন্নতি ও অবনতির জন্য  একজন মেয়ে থাকে..  আমারাও ওই রকম হয়েছে

আম্মু - তরে আবার কোন মেয়ে কি করলো

আমি - কিছু না..  খাবার বারো খুদা লাগছে

আম্মু - যা ফ্রেশ হয়ে আয়। আর শোন তর ছোট খালা ফোন দিছে।  বল্লো তর পরিক্ষা শেষ হলে যেনো তুই ওখানে বেড়াতে যাস

আমি - আচ্ছা। কালকে সকালে রওনা দিবো।  আমি একা যাবে নাকি তুমি ও সাথে যাবে

আম্মু - না।  তুই যা একা।  আমি গেলে বাসা ফাকা হয়ে যাবে

আমি - ওকে।


তারপরের দিন খালাদের বাড়ি গেলাম কলেজের পুরো বন্ধটা ওখানে কাটালাম। এলাকাটা খুব ভালো লাগে গ্রামীণ পরিবেশ।


২ দিন পর বাসায় ফিরলাম কালকে রেজাল্ট  দিবে যেদিনটার জন্য এত কষ্ট করছি।


রাতে ঘুম হলো না।  কেন জানি ঘুম আসলো  না চোখে।

সকালে রেডি হয়ে কলেজে গেলাম আজকে রেজাল্ট দিবে

সাথে আম্মুকে নিয়ে আসচ্ছি

কারন  আম্মু আমার জন্য এ কয়টা দিন অনকে কষ্ট কষ্ট করছে

আমি যতখন রাত জেগে পরতাম আম্মু ও জেগে  থাকতো।


হঠাৎ করে আম্মু বল্লো 

কিরে ওই মেয়েটা  রিয়া না

গল্প - পুরোনো প্রাপ্তি

পর্ব -০৩ / শেষ পর্ব

লেখাঃ Raihan Bin Ak 


হঠাৎ করে আম্মু বল্লো 

কিরে ওই মেয়েটা  রিয়া না


আমি - হে!   তো কি হইছে..??

আম্মু - কি হইছে মানে এভাবে কথা বলতেছস কেনো

আমি - এমনেই

আম্মু - ডাক দে ওরে

আমি - আমি পারবো না, তুমি ডাক দেও

আম্মু - ঠিক আছে।


আম্মু - রিয়া এই রিয়া..  এদিকে আসো মা

আমি -  মা কওয়া লাগবো..?? 

আম্মু - তুই চুপ কর


তখন রিয়া  কাছে এসে

রিয়া - আসসালামু আলাইকুম আন্টি,  কেমন আছেন

আম্মু -    অলাইকুম আসসালাম।  ভালো  মা,  তুমি কেমন আছো

রিয়া - এইতো আন্টি

আম্মু - পরিক্ষা কেমন  হয়েছে.? 

রিয়া - ভালো

আম্মু - বাসার সাবাই ভালো আছে

রিয়া - হে সবাই ভালো আছে।  আন্টি রেজাল্ট দেওয়ার সময় হয়ে গেছে..!  যেতে হবে

আম্মু - হে যাও ওই তুই ও যা

আমি - বলা লাগবে  না আমাকে আমি জানি

আম্মু - যা


আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম ক্লাস রুমে যেখানে রেজাল্ট দিবে।


অনেকখন ধরে বসে আছি স্যারের কোনো খবর নাই।


১০ মিনিট পর স্যার  আসলো।  এক হাতে রেজাল্ট সিট আরেক হাত তার চর্বিযুক্ত পেট হাতাতে হাতাতে।


স্যার একে একে সবার রেজাল্ট দিতে শুরু করলো...


ফলাফল দিতে দিতে ৩ জন বাকি আছে  আর তাদের মধ্যে আমি আর রিয়া  আছি।


রিয়া আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে।  আমি ওর দিখে ফোকাস দিচ্ছি না..  আমার সব দৃষ্টি ফলাফলের দিকে।

 

আমার হার্টবিট প্রচন্ড বেড়ে গেছে

আমি রীতিমত ঘামছি

এমন টেনশনে কখনো পরি নাই 


আবির  রোল - ২৭   তয় হয়েছো

রিয়া রোল - ১৯  ২য় হয়েছো

আদি  রোল ২০  ১ম হয়েছো


তখন  আদি নামটা শুনার সাথে সাথে  চোখের পানি চলে আসলো..  চোখ বেয়ে যেনো সব পানি বেড় হয়ে যাবে।

ক্লাসের সবাই+ স্যার সহ থ হয়ে গেছে।  

কেউ বিশ্বাসই করতেছেনা ১ম আমি হয়েছি


আমি যেনো এক ঘরে আছি।  কোনো এক স্বপ্ন।

যেনো সব কিছু থেমে গেছে।


অনেকে এসে শুভেচ্ছা জানালো।

আমার এই লোক দেখানোর  শুভেচ্ছা দরকার নেই ।  আমার এখন রিয়াকে দরকার

আমি রিয়া কে খুজতে থাকলাম ও কি ক্লাস এ নাই নাকি।


ওরে এখন লাগবে আমার ।  দৌড়ে ক্লাস থেকে বেড় হলাম.. অনেক খুজলাম কোথাও নাই।  ও কি চলে গেলো নাকি


তারপর আম্মুর কাছে গেলাম

আম্মুকে কিছু বল্লাম না চুপ করে জরিয়ে ধরে কাদঁদে লাগলাম

আম্মু - কিরে বোকা কাদিঁস কেনো,  ফেল করেসিছ 

আমি - চুপ

আম্মু - এ বল না বাবা  এত কষ্ট করলি রেজাল্ট কি

আমি - চুপ

আম্মু - কি হছে বল না এভাবে চুপ করে কাদিঁস  কেন

আমি - তোমার পড়াশুনা খারাব করা ছেলে  আজ পুরো কলেজে ১ম হয়েছে

আম্মু - সত্যি

আমি - হে

আম্মু - আমি জানতাম তুই যে পড়েসিছ রেজাল্ট ভালো হবেই

আমি - হুম

আম্মু - হইছে এখন আর কাঁদতে হবে না 

আমি - হে,  তোমার হাতে ওটা কি 

আম্মু -  ও এটা ডাইরি 

আমি - কিসের

আম্মু - জানি না রিয়া তারাহুরা করে দিয়ে বল্লো তকে দিতে

আমি -  ও দেও তো 

আম্মু - একটা রিকশা ডাক দে

আমি - হুম 


বাসায় চলে আসলাম।

এখন বড্ড হালকা লাগতেছে

অদ্ভুত এক শান্তি।

এমন অনুভুতি কোনোদিন হয় নি।

কাল থেকে কলেজের সাবই ডেব ডেব করে তাকিয়ে থাকবে।


দুপুরের খাবার খেয়ে যখন ঘুমাতে যাবো তখন ডাইরির কথা মনে পড়লো।


ডাইরি টা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলাম খুলবো নাকি খুলবো না।  রিয়া আমাকে আবার কিসের ডাইরি দিবে।


একটু ভয়ে ভয়ে ডাইরি টা খুল্লাম।


লেখা


প্রিয় আদি


কিছু দিন ধরে তোমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ছেলেদের সাথে কথা বলি.  তোমাকে এটা বুঝানোর জন্য আমি তোমার লাইফে  কতটা  গুরুত্বপূর্ণ।

...

তোমার জ্বর এসেছে।  খুব খারাব লাগতেছে তাই না। খুব ইচ্ছে করতেছে তোমাকে।

তোমার কপালটা ছুয়ে দিতে। 


আজকে যখন তুমি দরজা বন্দ করে আমার মুখ চেপে ধরলে আমি সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলাম কারন আমি জানি তুমি খুব রাগি।

রেগে গেলে তুমি কি করো কোনো খেয়াল রাখো না।


তখন খুব ইচ্ছে করতেছিলো বলতে।  যে কপাল এ একটা ভালোবাসার পরস একে দিতে। 


 তুমি  যখন ওই ছেলের কথা পর আমার গালে চর মারলে..  আমি ওইদিন রাতে খুব কেঁদেছি। কেমনে মারতে পারলে আমাকে,  আমি  রাতে আর ঘুমাতে পারি নাই।


তুমি কি ভেবেছো তুমি কই কি করো আমি কিছু জানি না 

আমি রোজ তোমার আম্মুকে ফোন দিয়ে তোমার খোজ রাখি


তুমি কি ভেবেছো তুমি এত ভালো রেজাল্ট শুধু  এই কয়দিন পড়ালেখা করে করেছো।

তুমাকে রিফাত যে সাজেশন টা দিয়েছিলো ওটা আমার দেওয়া।  আমি  কষ্ট করে সারা বছর লাগিয়ে সাজেশন বানিয়েছি।  


আমি  জানতাম তুমি পড়বে কিন্তু এই কয়দিনে এত বিষয় ভালো ভাবে পড়া সম্ভব নয় 

তাই আমি সাজেশনটা বানিয়ে তুমাকে দিয়ে ছিলাম।


আমি একটা পরিক্ষা খারাব দিয়েছি ইচ্ছা করে।  যাতে তুমি আমার থেকে ভালো রেজাল্ট করতে পারো


আমি জানি তুমি  খুব ভালো রেজাল্ট করবা।  তাই আগে থেকেই ভেবে রেখেছি তোমার নাম বল্লে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাবো। 


আমার এইসব কারার একটাই কারন।  তোমার ভালো রেজাল্ট করা।

আমি তোমাকে ভালোবাসি। সেটা একটু না অনেকটুকু। তুমি ছারা আমার কোনো অস্থিত্ব থাকবে না।


তুমি জানো তোমার আমার রিলেশনটা কলেজের কেউ দেখতে পারে না।  সবাই তোমাকে আর আমাকে অপমান করে। 


আমি কলেজের ভালো ছাএ আর তুমি খারাব ছাএ। 

তোমাকে অনেক বুজিয়েছি আদি একটু পড়ো। ভালো করে পড়ো না হলে রেজাল্ট খারাব হবে।

কিন্তু তুমি কখনো আমার কথা শুনো  নাই।


এটা একদিন না বহুদিন বলেছি তোমাকে।

কিন্তু তুমি আমার কথায় একটু ও গুরুত্ব দেও নাই।


আমি কি করতাম বলো।  আমার তোমার সাথে এমন করা ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।

জানি অনেক ভাবে তোমাকে কষ্ট দিয়েছি।  নিজেও অনেক কষ্ট পেয়েছি। 


বিকালে কলেজের পাশের পার্কে অপেক্ষা করবো..!  নীল শারি পড়ে।


ইতি তোমার রিয়া।


ডাইরি পরে বরফের মত জমে যাই আমি।

এইসব ও নিজ ইচ্ছায়  করলো আর আমি  কেনো টের পেলাম না।


নিজেকে বড্ড বোকা লাগতেছে।

এত কাছে থেকেও বুজতে পারলাম না।


ডাইরিটা বিছানার নিচে রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম


বিকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নীল পান্জাবি টা পরে বের হলাম।


পার্কে এক কোনো বসে আছে রিয়া।

কিছু বল্লাম না চুপ করে  ওর পাশে বসলাম


- আদি গালটা এদিকে করো

- কেনো

- করো

- ঠাসসসসসস

- এই মাইয়া  মারলা কেন

- সরম করলো না

- কিসের সরম

-  ওই দিন যে  বল্লা ওইটা কি তর বিএফ নাকি

- ও

- ও কি 

- তুমি কি আমাকে মারার জন্য ডেকছো

- হে

- গাল পাত আরেকটা মারবো 

- নেও মারো

- নেও.   উম্মাহ

- এটা কি ছিলো

- ভালোবাসা

- আগেরটা কি ছিলো

- অভিমান

- তা বলে এই পাবলিক প্লেসে 

- হুম

- কি হুম

- অনেক কষ্ট দিছি তাই না

- হে অনেক অনেক.. অনেক কাদাইছো

- কি করলে মাফ করবা বলো

- পার্মানেন্ট ভাবে ব্রেকআপ করলে

-  আরেক বার বল শুধু  আদিরে আদা বানায়া চা বানিয়ে খেয়ে ফেলবো

- কি

- হে


কিছুখন নিরবতা কেউ কিছু বলছি না


রিয়া আমার আস্তে করে আমার হাতটা ধরে বল্লো

- এ বাবু সরি

- এই বাবু কে হে

-  তুমি

- সরি...!!!

- কিসের সরি

- কষ্ট দিছি যে

-  আচ্ছা  ভালোবাসতে  কি এমনই পারফেক্ট হওয়া লাগে। 

  - না..  কিন্তু  নিজের সম্মান নিজের বজায় রাখা লাগে..  যাতে কেউ  অসম্মান করতে না পারে... 

 - এত কষ্ট না দিলেও পারতা

 - তো কি...  তোমাকে তো চেন্ছ করতে পারছি 

 - হুম 😴😴

  - যাই হোক আমি এখন অন্য মেয়েকে লাইক করা শুরু করছি

- কি...??

- এত কাছে থেকেও কানে শুনতে পাও না

-  আমি কিন্তু কান্না করবে

- করো

- কি খারাব..  কাদাতে কষ্ট লাগে না

-  আমার লাগে,  তোমার লাগে না

- এইসব কি আমার জন্য  করছি

- হে তুমার জন্য তো করছো

- কি..?? 

- এ যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।  আমাকে ছারা থাকতে পারবা না।  তাই এমন নাটক করলা।

- হুম

- যাই হোক এখন ওঠি নতুন বাবুনিটাকে সময় দিতে হবে


ওঠতেই রিয়া খব করে জরিয়ে ধরলো

আর বল্লো তুমি আমার আর  কারো না

চুপ চাপ বসো সন্ধার  হলে আমাকে বাসায় দিয়ে বাসায় যাবা

- ও আচ্ছা আমার কি তোমার চাকর মনে হয়

- না. জামাই মনে হয়।

- আমি কাউকে দিয়ে আসতে পারবো  না 

- এ ডং কালকেই তো ফোন দিয়ে বলবা।  বাবু আসো দেখা করি

- না. ৪-৫ মাস দেখা না করে থাকতে পারছি.  এখনো থাকতে পারবো

- এখনো অভিমান করে আছে 

- হে আর এটা সারাজীবন থাকবে

- সাথে  আমাকে রাখবে না

- তুমি ছাড়তে দিবা নাকি

- হে সেটাই।

- নীল শারীতে কিন্তু তোমাকে অনেক কিউট লাগতেছে

- তাই

- হে 


তারপর পাগলিটার  গাল টা টেনে দিলাম।

সব অভিমান ভুলে আমরা এখন একে অপরের।


ও আমাকে অনেক বুঝিয়ে ছিলো আদি একটু ভালো করে পড়ো।  

আমি শুনিনি। কিন্তু ও এমন এক কান্ড করবে তা তো আর জানা ছিলো না 


রিয়ার হাত ধরে পুরো বিকালটা কাটালাম

পরিবেশটা আজকে সেজেছে নতুন করে..  নীল আকাশ মেঘের ছুটা ছুটি..!!

ধমকা বাতাস..  


সন্ধায় রিয়াকে বাসায় দিয়ে আসলাম

আর আমি হেটে হেটে বাসার দিকে রওনা দিলাম


বাসায় যেয়ে  আম্মু কে বলতে  হবে আমর উন্নীত সাধন কারি মেয়েটা রিয়া।


@সমপ্ত

বিশেয সূচনাঃ নতুন গল্প আগামীকাল।দেওয়া হবে,


@ অনেক অনেক ধন্যবাদ  সবাইকে।   পর্ব ১.২.৩ কষ্ট করে পড়ে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করার জন্য।

আপনার ছোট ছোট কমেন্ট..  আমাকে গল্প লিখতে আগ্রহ বাড়ায়।


#দেখা হবে খুব শীঘ্রই নতুন গল্প নিয়ে।

 আল্লাহ হাফেজ ☺️


Share:

Search This Blog

Fake WhatsApp Account Create Site list

 Quackr https://quackr.io AnonymSMS https://anonymsms.com ReceiveSMS https://www.receivesms.co Temporary phone number for verification code ...

Labels

Recent Posts

Label